এই মুহূর্তে খেলাধুলা

ফলোআন বাঁচালেও বিপাকে ক্যারিবিয়ানরা ।

স্পোর্টস ডেস্ক , ২০ জুলাই:- প্রথম টেস্টে হারের পর ম্যাঞ্চেস্টারে দ্বিতীয় টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৪৬৯ রানের বিশাল রানের বোঝা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘাড়ে চাপিয়ে সিরিজে সমতা ফেরানোর অপেক্ষায় ছিল রুট বাহিনী। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তৃতীয়দিন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে একটিও বল না গড়ানোয় হোল্ডার বাহিনীর ব্যাপক সুবিধে হল বলেই মনে করছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। চতুর্থদিনের পর বিশেষজ্ঞদের সেই ধারণা আরও স্পষ্ট হল।প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৪৬৯ রানের জবাবে চতুর্থদিন কোনক্রমে ফলো-অন বাঁচাতে সক্ষম হল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে খেলা শুরুর পর চতুর্থদিন তাঁদের প্রথম ইনিংস শেষ হল ২৮৭ রানে। অর্ধশতরান এল তিন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। ক্রেগ ব্রাথওয়েটের ৭৫ এবং শামার ব্রুকসের ৬৮ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়াইয়ে রাখলেও একসময় স্টুয়ার্ট ব্রড, ক্রিস ওকসদের দাপটে ধস নামে সফরকারী দলের ব্যাটিং লাইন-আপে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফলো-অন যখন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছিল ঠিক সে সময় ছ’নম্বর ব্যাটসম্যান রস্টন চেজের লড়াকু অর্ধশতরান কোনক্রমে ফলো-অনের লজ্জা থেকে বাঁচাল দলকে।

টেল এন্ডারদের নিয়ে লড়াই করে দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফলো-অন থেকে বাঁচাল অল-রাউন্ডার চেজের ব্যাট। বল হাতে ৫ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে চতুর্থদিন মূল্যবান অর্ধশতরান এল তাঁর ব্যাট থেকে। ৮৫ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ রান করলেন চেজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস শেষ হল ২৮৭ রানে। ক্রেগ ব্রাথওয়েট করলেন ৭৫ রান (৮টি চার)। ব্রুকসের ব্যাট থেকে এল ৬৮ রান (১১টি চার)। দ্বিতীয়দিন নাইট-ওয়াচম্যান হিসেবে নেমে আলজারি জোসেফের ৩২ রানও মূল্যবান হয়ে দাঁড়ায় এক্ষেত্রে। টেল-এন্ডারদের সহায়তা পেলে অনায়াসে তিনশো রানের গন্ডি টপকে যেতে পারত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শেষদিকে ইংরেজ বোলারদের সামনে তিনজন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান ফিরলেন শূন্য রানে।

থমদিকে খানিকটা নিষ্প্রভ থাকলেও পরের দিকে জ্বলে উঠলেন স্টুয়ার্ট ব্রড এবং ক্রিস ওকস। দু’জনেই নিলেন ৩টি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১৮২ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থদিনের শেষে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে রান ২ উইকেট হারিয়ে ৩৭। আপাতত ২১৯ রানে এগিয়ে ইংল্যান্ড। সবমিলিয়ে অন্তিমদিন বিরাট কিছু না ঘটলে দ্বিতীয় টেস্ট ড্র’য়ের পথেই এগোচ্ছে ধরে নেওয়া যায়। রুটদের স্ট্র্যাটেজির উপরেও অনেকাংশে নির্ভর করছে ম্যাচের ভাগ্য। তবে তৃতীয়দিন খেলা হলে সিরিজে সমতা ফেরানোর বিষয়টা যে ইংল্যান্ডের অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যেত, চতুর্থদিন অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে গেল।