এই মুহূর্তে জেলা

পরকীয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে পোস্টে বেঁধে গণধোলাই স্থানীয়দের।


জামুড়িয়া, ১৮ জুলাই:- পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার কে ইলেকট্রিক পোলে বেঁধে গণধোলাই দিল স্থানীয়রা। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার কে উদ্ধার করতে এসে পুলিশকে এবং সাংবাদিকদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠলো কিছু স্থানীয় যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং ওই মহিলাকে আটক করেছে জামুরিয়া থানার অন্তর্গত শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল পৌরনিগমের জামুরিয়া থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বোগড়া কলোনি এলাকায় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ।স্থানীয়দের অভিযোগ ওই মহিলাটির স্বামী রাত্রে কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রায় দিন আসত। কিন্তু পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার ভেবে তারা কোনও কিছু বলার সাহস করতো না বলে জানান স্থানীয়দের একাংশ। কিন্তু সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়ায় সেই মতো শুক্রবার রাত থেকে ওৎপেতে বসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সাত সকালে মহিলার ঘর থেকে চুপি চুপি বের হতেই হাতেনাতে ধরে ফেলে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে । এরপর ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাসিন্দারা । তারপর শুরু হয় ব্যাপক গণধোলাই বলে অভিযোগ। আক্রান্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে উদ্ধার করতে এসে হেনস্তার শিকার হতে হয় জামুরিয়া থানার পুলিশক এবং সাংবাদিকদেরও । রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশের সঙ্গে। পরে জামুরিয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে । সিভিক ভলেন্টিয়ার ও মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । এই ঘটনার জেরে প্রচুর সংখ্যক স্থানীয়রা ভিড় জমান। মানা হয়নি কোন সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেভাবে জামুরিয়া এবং রানীগঞ্জে প্রতিদিন মহামারী আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তারপর দেখা গেল না সামাজিক দূরত্ব ? নেই মুখে মাস্ক ? এই ঘটনায় একাধিক মানুষের ভিড়ে কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েই গেল ?