এই মুহূর্তে খেলাধুলা

মোহনবাগানের দীপ জ্জ্বেলে রাখতে মশাল ইস্টবেঙ্গলের।

সুদীপ দাস , ১১ জুলাই:- সোজাসাপটার খবরের জের , ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে মোহনবাগানের উঠতি তারকার বাড়িতে ইস্টবেঙ্গল। দুই প্রধানের মাঠের লড়াইকে জিইয়ে রেখে বাস্তবের লড়াইতে জালে বল জড়িয়ে এগিয়ে গেলো ইস্টবেঙ্গল। লড়াই যে শুধুই মাঠে , মাঠের বাইরে একে অপরের পরিপন্থী নিজেদের শতবর্ষে তা আরও একবার প্রমান করলো লাল-হলুদ। মোহনবাগানের সামান্য ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তার পাশে সব্জি নিয়ে বসা কোন্নগরের দীপ বাগের বাড়িতে আজ হাজির হলেন ইস্টবেঙ্গলের ক্রিকেট সচিব মানস রায়।

আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি দীপের খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা জিইয়ে রাখলেন মানসবাবু । প্রসঙ্গত দূর্গাপুরের মোহনবাগান অ্যাকাডেমিতে থেকে অনুর্দ্ধ-১৯ দলের হয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছিলো রিক্সাচালকের ছেলে দীপ। নিয়মমত মাসিক একটা ভাতাও মিলছিলো । সিনিয়র দলে সুযোগ পাওয়ার দোরগোড়ায় করোনা যেন সবকিছুতে জল ঢেলে দেয়। বাজারে লকডাউন শুরু হতেই দীপের জীবনেও নেমে আসে লকডাউন। বন্ধ হয় ভাতা। অসুস্থ বাবারও রিক্সা চালানো বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বাড়িতে ফিরে এসে সংসারের হাল ধরতে হয় দীপকে। শুরু হয় কঠিন লড়াই। কোন্নগরে রাস্তার পাশে অপটু হাতে সব্জি বিক্রী করতে শুরু করে দীপ।

এই খবরই শুক্রবার সোজাসাপটার পোর্টাল পেজে প্রকাশিত হয়। তারপরই শনিবার দীপের বাড়িতে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তা মানস রায়। মানসবাবুর বক্তব্য শুধু খেলা নয়, করোনা সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রতেই প্রভাব ফেলেছে। তবে এই পরিস্থিতিতে যারা এটিকে (আটলেটিকো দি কোলতাতা)-র সাথে গাঁটছড়া বাঁধে তাঁদের কাছে এইসমস্ত উঠতি তারকাদের ভাতা বন্ধ করা আশা করা যায়না। প্রতিষ্ঠিত না হলে আমাদের সমাজ স্বীকৃতি দেয়না। সেদিক থেকে দীপদের মত প্রতিভাবান উঠতি তারকাদের পাশেও দাঁড়ানো উচিত। ও যাতে খেলা চালিয়ে যায়, তাঁর প্রচেষ্টা চালাবে ইস্টবেঙ্গল। মাঠের চিরশত্রুর ভূমিকায় আজ বেজায় খুশি দীপও । দীপের মুখে থাকা লাল-হলুদ মাস্কের পিছনের হাসি এদিন সেটাই জানান দিলো।