এই মুহূর্তে জেলা

গানে , কবিতায় এবং চিকিৎসা বিদ্যায় সাবলীল ডাঃ এস , কে, ভট্টাচার্য্য।

তরুণ মুখোপাধ্যায় , ১ জুলাই:- করোনা নিয়ে আমাদের এত ভয় পেলে চলবে না । এই রোগকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাঁচতে পারি , তবে এর জন্য বেশ কিছু নিয়ম আমাদের মেনে চলতে হবে । পরিমিত খাওয়া , ফ্রী হ্যান্ড এক্সারসাইজ , মন ভালো রাখার জন্য গান শোনা , সোশ্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন করা এবং নিজেদের পরিষ্কার রাখা ইমিউনিটি বাড়ানো চেষ্টা। এগুলো আমরা যদি ঠিক মতন করতে পারি একদিন করোনা ভাইরাস দুর্বল হয়ে যাবে । আমাদের শরীরে ইমিউনিটি তৈরি যত হবে ততো এই রোগ সরে যাবে জনজীবন থেকে। উত্তরপাড়ার বিশিষ্ট চিকিৎসক এস , কে ভট্টাচার্য আজ ৭৫ বছর বয়সেও সমানভাবে রোগীদের সেবা করে চলেছেন। একদিকে যেমন তিনি চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষকে ভরসা দিচ্ছেন অন্যদিকে তার একটা সাংস্কৃতিক মনস্ক জগৎ আছে সেই জগতে তিনি আজ বিরাজমান ।

চার চারটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে তিনি যে সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে যুক্ত তার প্রমাণ আমরা পাই তার লেখা বহু গান বহু কবিতায় । পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং রেকর্ডিং এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তার লেখা গানে সুর দিয়েছেন বহু বিশিষ্ট সুরকার এবং সঙ্গীতে গলা মিলিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু প্রথিতযশা শিল্পীরা। এছাড়া তার ফটোগ্রাফির হাত অসাধারণ , তার তোলা রঙিন এবং সাদা কালো প্রট্রেট গুলি শোভা পাচ্ছে তার চেম্বারের দেওয়ালে । নদী পাহাড় সমুদ্র থেকে দুর্গম সিয়াচেন এর বেশ কিছু দুর্লভ ছবি ধরা পড়েছে তার ক্যামেরায়। এই নিয়ে আজও ডাক্তার সমীর কুমার ভট্টাচার্য্য উত্তরপাড়া সাধারণ গরিব মানুষেরও গরিব রোগীদের সেবা করে চলেছেন করোনা নিয়ে বলতে গিয়ে ডাক্তার ভট্টাচার্যী বলেন যদিও এখনো নিদিষ্টকোনো ঔষুধ বেরোয়নি। এই রোগের যার জন্য স্পেসিফিক ওষুধ আমরা দিতে পারছিনা । অতএব যেখানে ওষুধ বেরোয়নি সেখানে অযথা বেশি ওষুধ দিয়ে রোগীকে আরো অসুস্থ করার মানে হয় না অসুস্থ করা এর থেকে সাধারন যে সমস্ত উপসর্গ গুলো আসে তার জন্য যে যে ওষুধগুলো আছে সেই ওষুধগুলো ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায় এটা আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে বলতে পারি।

তবে তিনি বলেন জন সংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে এই মারণ রোগের মৃত্যুর হার অনেক কম । এবং মানুষের মধ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা একটা আশার কথা। এক প্রশ্নের উত্তরে ডাক্তার বাবু জানালেন আমাদের শহরাঞ্চলে থেকে গ্রাম অঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক কম । কারণ শহর অঞ্চলে পরিবেশ দূষণ ঘিঞ্জি জীবনযাত্রা এই সবই করোনা আক্রমণের পক্ষে সহায়ক। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের পরিবেশ সোশ্যাল ডিসটেন্স এবং সেখানকার আবহাওয়া অনেকটা মানুষের সুস্থ জীবনযাত্রার পক্ষে অনুকূল , আমরা দেখতে পাচ্ছি যে শহর অঞ্চলের থেকে গ্রাম অঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক কম । এই ভাবেই উত্তরপাড়া জিটি রোড এর উপর গৌরী সিনেমার পাশের চেম্বারে বসে সমানতালে একদিকে রোগীদের ,অন্য দিকে তার যে সাংস্কৃতিক মন এবং তার সাধনা চালিয়ে যাচ্ছেন এই ৭৫ বছর বয়সেও যা অনেকের কাছে শিক্ষণীয়।