এই মুহূর্তে জেলা

কল্যানের কথায় সিলমোহর ফিরহাদের। বাতিল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার নিয়োগ প্রক্রিয়া।

সুদীপ দাস , ১৫ জুন:- দিনভর বিক্ষোভের পর বাতিল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার নিয়োগ প্রক্রিয়া। আবারও নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। চুঁচুড়া পুরসভার কর্মী নিয়োগের দুর্নীতির প্রতিবাদে পুরসভার গেটের সামনে বিক্ষোভ খোদ পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের। গত ১২ তারিখে চুঁচুড়া পুরসভার একাধিক পদে নিয়োগর ৫৪ জনের একটি তালিকা বের করা হয় পুরসভার তরফে। যদিও পুরসভার পক্ষ থেকে ৭৩জন কর্মী নিয়োগ করার কথা ছিল,যার মধ্যে ৬৪ জন হচ্ছে গ্রুপ ডি-সাফাই কর্মী, বাকি ৯জন কেরানী পদের। কিন্তু যখন ৫৪জনের নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা যায় একদিকে যেমন কাউন্সিলর নিজেই পেয়েছেন চাকরি, তেমনি পুরসভারই অন্য কউন্সিলরদের আত্মীয় ঢুকে রয়েছে ৫৪জনের তালিকায়,এবং যাদেরকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এবং সেই তালিকায় কোনো সাফাই কর্মীর পদ নেই বললেই চলে। এই নিয়েই কয়েকদিন আগেই হুগলীর সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। ।

কিন্তু আজ সকাল থেকেই থেকেই অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে পুরসভার সামনে। তাদের অভিযোগ, অস্থায়ী পদের কর্মীদেরকে স্থায়ী পদে নিয়োগ না করে, অন্য লোককে নিয়োগ করা হলো কেন?? এদের অনেকেই দীর্ঘ ২০বছর পুরসভার সাথে যুক্ত, তাদের কেউই স্থায়ী পদের তালিকায় আসতে পারেননি। এই নিয়েই তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে পুরসভার সামনে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এবিষয়ে পুরপ্রশাসকের সাথে বৈঠকের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ থামে। অন্যদিকে এদিনই পুরসভার এক গেটে বামফ্রন্ট ও অন্য গেটে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বামেরা এদিন পুরপ্রশাসককে স্মারকলিপিও প্রদান করে। তবে বিজেপি সেপথে না হেটে বিক্ষোভের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই পুরমন্ত্রীর কাছে পুরসভার এই নিয়োগ বাতিলের দাবী জানান তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যানবাবুর আবেদনে সাড়া দিয়ে দুপুর ৩টের পর কোলকাতা থেকে নিয়োগ বাতিলের কথা জানিয়ে দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।