এই মুহূর্তে জেলা

আমফানে’র ক্ষতিপূরণের তালিকা নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ হাওড়ার দুইল্যায়। অভিযোগ অস্বীকার পঞ্চায়েত সদস্যের।

হাওড়া , ১৪ জুন:- আমফানে’র ক্ষতিপূরণ নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগে এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়ার সাঁকরাইল থানা এলাকা। রবিবার সকালে এই নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যাদের ক্ষতিপূরণ পাবার কথা সেই তালিকায় রয়েছে অন্যদের নাম। এই স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে এদিন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষা ও এক সদস্যের বিরুদ্ধে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন কিছু মানুষ। এদিন সকালে দক্ষিণ দুইল্যায় ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তারা। মূলত এদিন গ্রামের মহিলারা সেখানে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে বিক্ষোভ সামাল দিতে সাঁকরাইল ও নাজিরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমফানের তান্ডবে আন্দুল দক্ষিণ দুইল্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু বাড়ি ঘর ঝড়ে ক্ষতি হওয়ায় সরকারের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণের জন্য একটি তালিকা করা হয়। সেই ক্ষতিপূরণের তালিকা প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার কিছু মানুষ। রবিবার দক্ষিণ দুইল্যা গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যের বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যেসব গরিব গ্রামবাসীর বাড়ি ঘর ভেঙেছে তাদের ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম নেই। অথচ নাম রয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের লোকেদের। এই নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলেন তারা। এদিকে, দুইল্যা গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ওই সদস্যের পাল্টা অভিযোগ, যে তালিকা নিয়ে অভিযোগ তুলছেন কিছু মানুষ সেটি সঠিক তালিকা নয়। কয়েকদিনের মধ্যেই সঠিক পূর্ণাঙ্গ তালিকা এলেই দেখা যাবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই ক্ষতিপূরণ পাবেন। এদিন সকালে যখন লোকজন এসেছিল তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী তার বাড়িতে চড়াও হন। এনিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।