সুদীপ দাস ,২৫ মে:- আজ বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের ১২২ তম জন্মদিবস। তাঁর যুগবাণী, বিষের বাঁশি, ভাঙ্গার গান, প্রলয়শিখা ও চন্দ্রবিন্দু সহ মোট পাঁচটি গ্রন্থ সরকারের রোষানলে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল । বাংলা সাহিত্যে সমকালীন অন্য কোনো কবি বা সাহিত্যিকের এত গ্রন্থ একত্রে কখনো বাজেয়াপ্ত হয়নি। ১৯২২ সালে নজরুল সম্পাদনা করেন অর্ধ সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ধূমকেতু’। এই পত্রিকার ১২ সংখ্যায়, ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২২ সালে ‘আনন্দময়ী আগমন’ নামক একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। এই কবিতার সূত্র ধরে নজরুলের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম রাজদ্রোহের মামলা শুরু হয়। ৮ নভেম্বর কথিত রাজদ্রোহের অপরাধে নজরুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। নজরুলকে প্রথমে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল এবং পরে হুগলি জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। এখানে বসেই তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লেখেন “কারার ওই লৌহ কপাট”। টানা ৩৯ দিন এই জেলেই অনশন করেন বিদ্রোহী কবি। সেই হুগলি জেল আজ হুগলি জেলা সংশোধনাগার। প্রত্যেক বারের মত এবারেও সংশোধনাগারের সামনে কবির আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানালো হুগলি-চুঁচুড়া নজরুল স্মৃতি সংরক্ষন সমিতি ও হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভা। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী নরেন দে, পৌরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখার্জী, উপ-পৌরপ্রধান অমিত রায় সহ কিছু সংস্কৃতি প্রেমী মানুষ। একে একে সকলে কবির মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। করোনা আবহে এবারে অনারম্বরেই পালিত হলো বিদ্রোহী কবির ১২২তম জন্মদিবস।