এই মুহূর্তে জেলা

একটি রাজনৈতিক দল বাংলাকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছে – কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়।

চিরঞ্জিত ঘোষ,চন্ডিতলা,২৫ মে:- আমফানের ধ্বংস লীলায় হুগলি চন্ডীতলা এবং জাঙ্গিপাড়া কতটা ক্ষতি হয়েছে তা দেখতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার হুগলি চন্ডীতলা এবং জাঙ্গিপাড়া এলেন । এদিন তিনি বিজেপির না করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন। তিনি বললেন রাজ্যের একটি রাজনৈতিক দল পশ্চিমবঙ্গ কে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছে। মানুষের দুর্গতি র সুযোগ নিয়ে তাদের ইন্ধন যোগাচ্ছে,গন্ডগোল পাকাবার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা তো নয়। তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলা আজকে ক্ষতিগ্রস্ত ।এখানে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের সাহায্যের ব্যাপারে কোন রঙ দেখা হবেনা ,কোন ধর্ম দেখা হবেনা ,কোন বর্ণ দেখা হবেনা, কোন পার্টি দেখা হবে না, যার যতটা ক্ষতি হয়েছে সে হিসাব করে তাদের সাহায্য করা হবে। এদিন তিনি চন্ডীতলা1 চন্ডীতলা 2 এবং জাঙ্গিপাড়ার কৃষকদের ক্ষতি বিষয়গুলি নিয়ে একটি বৈঠক করেন। তিনি জানান যে এখানকার মানুষ অধিকাংশ কৃষিজীবী। 80% মানুষ কৃষক এবং ম্যাক্সিমাম চাষের ক্ষতি হয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েকটি জায়গায় কৃষকরা তাদের ফসল তুলে নিলেও ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। তার সঙ্গে প্রচুর ঘর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। কল্যান বাবু বলেন আমাদের সবথেকে প্রধান যে বিষয়টা দিকে নজর দিতে হবে সেটা হল কত তাড়াতাড়ি আবার পশ্চিমবঙ্গ কে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, কিন্তু আমাদের কিছু লিমিটেশন আছে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী 25% শ্রমিক নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। তবে তার বিশ্বাস খুব শিগগিরই আবার পশ্চিমবঙ্গ তার স্বমহিমায় ফিরে আসবে। এদিন বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখার্জি। তিনি জানান যে সরকার চেষ্টা করছে যাতে তাড়াতাড়ি আবার সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায় ।এবং আমরা আজকে এখানকার চাষীদের যে ক্ষতি হয়েছে সেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করলাম আমাদের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি সমস্ত কিছু দেখে গেলেন এবং সমস্ত বিষয়টি অবগত হলেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাতে এখানকার কৃষিজীবী মানুষ আবার স্বাভাবিক অবস্থ্যায় ফিরে আসে তার চেষ্টা করবেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.