স্পোর্টস ডেস্ক,২০ মে:- বিচারপতি আরএম লোধা কমিশনের কুলিং অফের নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। বোর্ড সচিব পদে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র। অন্যদিকে আগামী জুলাইতে বিসিসিআই সভাপতি পদে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ফলে তিনিও লোধা কমিশনের সুপারিশকে চ্যালেঞ্জ করে যে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবেন, তা নিশ্চিত। সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত বিচারপতি আরএম লোধা কমিটির সুপারিশ মতো, কোনও ব্যক্তি বিসিসিআই বা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার প্রশাসনিক পদে (এক বা একাধিক) ছয় বছরের বেশি বহাল থাকতে পারবেন না। ২০১৪ সালে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা সিএবি-র যুগ্ম সচিব নিযুক্ত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে তিনি সংস্থার সভাপতি নির্বাচিত হন। আর গতবছর তিনি বিসিসিআই সভাপতি নির্বাচিত হন। সেদিক থেকে দেখলে আগামী জুলাই-তে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে ছয় বছর কাটিয়ে ফেলবেন মহারাজ। বিসিসিআই-র নতুন সংবিধান অনুযায়ী, এরপর তাঁকে তিন বছরের জন্য বাধ্যতামূলক বিরাম নিতেই হবে বা কুলিং অফে যেতে হবে।
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ-ও একই নিয়মে বন্দি হতে চলেছেন। কারণ তিনিও ২০১৩ সাল থেকে গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব পদে নিযুক্ত ছিলেন। কুলিং অফের নিয়ম অনুযায়ী গত ৭ মে পর্যন্ত বিসিসিআই-র সচিব পদে থাকার কথা অমিত শাহ-পুত্রের। উল্লেখ্য বিসিসিআই এর পক্ষ থেকে বলা হয় রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা নয়, কোনও ব্যক্তি পরপর দুইবার কেবল বিসিসিআই-র পদাধিকারি হলে, তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তা থেকে পরিস্কার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয় শাহকে বিসিসিআই-র শীর্ষ পদে অন্তত ছয় বছর দেখতে চাইছে বিসিসিআই। কারণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর বোর্ডের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে ও ক্রিকেটের উন্নয়নে একগুচ্ছ ভালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ-কে বিসিসিআই-এর শীর্ষ পদে লম্বা সময়ের জন্য দেখতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন ২০১৩ আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের মামলাকারী তথা বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শনের কর্তা আদিত্য বর্মা। সেই মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি।