হাওড়া,৪ মে:- তৃতীয় দফার লকডাউনের শুরুতেই বিয়ের আসর বসল হাওড়ায়। তবে ধুমধাম বা অনুষ্ঠান করে নয়, বিয়ে হল মন্দিরে। সোমবার সকালে হাওড়া গোলাবাড়ির ঘাসবাগান পানিট্যাঙ্কি এলাকার হনুমান মন্দিরে ওই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। তবে সেখানে হাতেগোনা কয়েকজনই কেবল হাজির ছিলেন। পরিবারের দাবি, সোস্যাল ডিসট্যান্স মানা হয়েছে। স্থানীয় থানায় বিয়ের কার্ড দিয়ে বিষয়টি জানানোও হয়েছিল। যদিও গোলাবাড়ি থানা বিয়ের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে ঘাসবাগান এলাকার এক ব্যবসায়ী সন্তোষের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় স্থানীয় বাসিন্দা অনিতার। অনিতার দাদাও হাওড়া মাছ বাজারের ব্যবসায়ী। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে কার্ড ছাপানো ও নিমন্ত্রণ করা হয়ে গিয়েছিল লকডাউনের আগেই। তবে লকডাউন শুরু হতে বিয়ে পিছিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক ছিল দ্বিতীয় পর্বের লকডাউন উঠলেই চার হাত এক করা হবে। কিন্তু, লকডাউনের সময়সীমা আরও বেড়ে যায়। ফলে সমস্যায় পড়ে যায় দুই পরিবার। শেষমেশ তৃতীয় দফায় লকডাউন শুরুর দিনেই বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেইমতো সোমবার সকালেই মন্দিরে হাজির হয় উভয়পক্ষ। হয় বিয়েও। অনাড়ম্বরভাবে অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে দেন পুরোহিত। যদিও পুলিশের দাবি, ওই বিয়ের কোনও অনুমতি থানা থেকে নেওয়া হয়নি। এরকম কোনও বিয়ের অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নও নেই। লকডাউনে বিয়ে করতে পারবে না এমন আইনও অবশ্য নেই। তবে, সেখানে সোস্যাল গ্যাদারিং করা হয়েছে কিনা সেটাই ছিল প্রশ্ন। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে সেখানে কোনও গ্যাদারিং হয়নি। পাত্র-পাত্রী সহ দুটি বাড়ির ৭-৮ জন ছিলেন সেখানে। অনেক লোকের গ্যাদারিং হলে পুলিশ কেস করে অবশ্যই ব্যবস্থা নিত।