চিরঞ্জিত ঘোষ,১ মে:- করোনার আতঙ্কে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন আর এই লক ডাউনের মধ্যে স্ত্রী-সন্তান পরিবার সকলকে বাড়িতে রেখে এসে জনসাধারণকে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন পশ্চিমবাংলার পুলিশ বাহিনী। সরকারি নির্দেশ তারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন ।তাই পুলিশের এই প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন ডানকুনির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আনন্দ নিকেতনের সদস্যরা। ডানকুনি পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে এদিন দিল্লি রোড এর উপর যে সমস্ত পুলিশের ট্রাফিক গার্ড রয়েছেন সেখানকার কর্মীরা যারা ডিউটি করছেন এই আনন্দধারার পক্ষ থেকে প্রতীকী হিসেবে তাদের হাতে সামান্য জল মিষ্টি এবং চকলেট তুলে দেয়া হলো। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উপ পৌরপ্রধান দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় জানান এই মুহূর্তে আমরা যে বিপদের মধ্যে রয়েছি সেই বিপদে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছেন আমাদের পুলিশ বাহিনী । একদিকে তারা অভুক্ত গরিব মানুষদের হাতে খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে অসুস্থ মানুষদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ যেমন করে চলেছেন তেমনিএই লক ডাউন এর সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সামাল দিচ্ছেন তারা । বাংলার আপামর মানুষ তাই তাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের কুর্নিশ জানায় সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী আমাদের চিকিৎসক কুল যেভাবে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাদের এই ঋণ মানুষ চিরকাল মনে রাখবে।
আজকে ডানকুনির আনন্দ নিকেতনের সদস্যরা এই প্রখর রোদে যে সমস্ত ট্রাফিক গার্ড পুলিশকর্মীরা ডিউটি করছেন তাতে সামান্য একটু মিষ্টি একটু জল তুলে দিয়ে একটা প্রতীকী হিসেবে দেখানো হলো যে আমরা আপনাদের পাশে আছি। এই সময় দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ যাদের কোনো ধর্ম নেই তাদের কোনো জাত নেই কাদের যাদের কোনো নীতি নেই সেই সমস্ত মানুষ অহেতুক পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছে, বাংলার মানুষ আমাদের মত সাধারন মানুষ যারা আছেন সবাই আমরা পুলিশ কর্মীদের পাশে আছি তারা যেন ভয় না পান়। তারা তাদের মতন কাজ করে চলুন অন্যদিকে ডানকুনি ট্রাফিক গার্ডের সাব-ইন্সপেক্টর উপেন্দ্র নাথ চট্টোপাধ্যায় জানালেন আজকে এনাদের যে কাজ তা দেখে আমরা খুব খুশি আমরাও মনে বল পেলাম। বাংলার সাধারণ মানুষও আমাদের পাশে আছেন এটা ভেবে। এদিকে ডানকুনি এলাকায় আনন্দ নিকেতন এই বিপদের দিনে যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে কাজ করে চলেছেন তা দেখে খুশি এলাকার বাসিন্দারা।