কোচবিহার,২০ এপ্রিল:- সরকারি নির্দেশ মেনে স্কুলে চাল আলু সঠিক ভাবে বণ্টন না হওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক অভিভাবক অভিভাবিকরা। আজ কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের খোলটা মরিচবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খোল্টা মক্তব নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটেছে। অভিভাবক অভিভাবিকাদের অভিযোগ, গত মার্চ মাসে লকডাউন শুরুর পর সরকারি নির্দেশ ছিল মিড ডে মিলের বদলে ছাত্র প্রতি ২ কেজি করে চাল ও আলু দেওয়ার। কিন্তু সেবার শুধু আলু দেওয়া হয়েছে। চাল পাওয়া যায় নি। এদিন ফের শুধু চাল দেওয়া হয়। আলু নেই। তাও আবার ৩ কেজি করে দেওয়ার কথা বলা হলেও দোকানে গিয়ে মেপে দেখা যাচ্ছে পরিমাণে চাল অনেকটাই কম। আর এতেই ক্ষুব্ধ অভিভাবক অভিভাবিকারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
বিজেপির কোচবিহারের ৩/১২ নম্বর মণ্ডল সম্পাদক অমিত দাস ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান। সরকার একরকম ভাবে ঘোষণা করছে। প্রশাসন আরেক রকম ভাবে ব্যবস্থা করছে। আর স্কুল গুলোতে দেওয়া হচ্ছে আরেক রকম ভাবে। ফলে এই লকডাউনের সময় সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রতারিত হতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিককে অভিযোগ করা হয়েছে।দেখা যাক এখন কি ব্যবস্থা নেয়।” স্থানীয় এক বাসিন্দা গালামাল ব্যবসায়ী দীপক ভাওয়াল বলেন, “এদিন চাল পাওয়ার পর আমার দোকানেই মাপতে এসেছিলেনভ কয়েকজন অভিভাবক। তখন চাল কম দেওয়ার প্রসঙ্গ নজরে আসে। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নবেন্দু দত্ত সাথে সাথে সঠিক পরিমাণ চাল যাতে পায়, তার ব্যবস্থা করেন।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক নবেন্দু দত্ত জানান, মার্চ মাসের covid 19 এর যে এলোটমেন্ট সেটা পাওয়া যায় নি। তাই তখন শুধু আলু দেওয়া হয়েছিল। আবার এদিন চাল আসলেও পাওয়া যায় নি আলু। পরে অবশ্য স্থানীয় একটি সেলফ হেলফ গ্রুপ আলু দিতে রাজি হয়েছে। সেটা পেলে কালই দিয়ে দেওয়া হবে। এদিন চাল কম দেওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, “যারা মেপে চাল প্যাকেট করে ছিল, তাঁরা একটি মগ দিয়ে চাল মেপে দিয়েছিল। ফলে কোথাও একটু কম। আবার কোথাও একটু বেশী গিয়েছে। অভিযোগ ওঠায় সেটাও সঠিক ভাবে ওজন করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে এখন আর কোন অভিযোগ নেই।”