এই মুহূর্তে জেলা

শ্বাসকষ্টে ভোগা স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালের সামনেই হন্যে হয়ে পরে রয়েছেন মহিলা।

 

সুদীপ দাস,১৯ এপ্রিল:- চলছে লকডাউন। গ্রামের চিকিৎসকের পরামর্শ মত বহু কষ্টে একটি টোটো জোগার করে প্রায় ১০ কিমি পারি দিয়ে শ্বাসকষ্টে ভোগা স্বামীকে নিয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন মহিলা। কিন্তু সেখানেও ভর্তি করা হলো না। অগত্যা হাসপাতালে বর্হিবিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনেই স্বামীকে নিয়ে পরে রইলেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের। ঘটনাসূত্রে জানা যায়’ পোলবা থানার গোটু এলাকার বাসিন্দা পেশায় চাষীভাই লক্ষ্মন চন্দ্র মালিক(৪২) কয়েকদিন ধরে কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত কারনে ভূগছিলেন। গ্রামের হাঁতুড়েকে দেখিয়ে কোন কাজ না হওয়ায় গতকাল স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে লক্ষ্মনবাবুকে নিয়ে যান তাঁর স্ত্রী মৌসুমি মালিক। সেই চিকিৎসক তড়িঘড়ি তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন বলে মৌসুমি দেবীর দাবি। লকডাউনের মধ্যে রাতে কাউকে না পেয়ে আজ সকালে স্থানীয় এক টোটো চালককে অনুনয়-বিনয় করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু অভিযোগ এমারজেন্সিতে তাঁর শ্বাসকষ্টের কথা শুনে বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালে খোলা বিশেষ আউটডোরে তাঁকে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে ৩দিনের জন্য অ্যাজিথ্রোমাইসিন ৫০০, ফেমোটিডিন ৪০ এবং প্যারাসিটেমল ৬৫০ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মৌসুমি দেবী বলেন স্বামীর শ্বাসকষ্টের কথা অনেক করে বললাম, কিন্তু অক্সিজেন দেওয়ার কোন ব্যাবস্থাই করলো না। এত কষ্ট করে এসে এই অবস্থায় স্বামীকে কি করে ঘরে নিয়ে যাই? তাই সকাল ১১টা থেকে ঘড়ির কাটা দুপুর ৩টে হয়ে গেলো এখনও ভর্তির নেওয়ার আশায় এখানেই বসে রয়েছি। এদিকে লক্ষ্মনবাবুও চরম শ্বাসকষ্ট নিয়ে বলছেন আমাকে একটু অক্সিজেন দিন, একটু অক্সিজেন পেলেই আমি ঠিক হয়ে যাবো! যদিও এবিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.