হুগলি,৭ এপ্রিল:- একটা দুটো নয় প্রায় শ খানেকেরও বেশি ময়ুরদের দিন কাটাছে এখন অনাহারে। এমনি অবস্থা হুগলির পোলবা থানার অন্তর্গত রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের গান্ধী গ্রামে। ময়ুরের গ্রাম নামে পরিচিত এই এলাকা। এখানে আসলেই যত্রতত্র ময়ুর দের পেখম মেলে খেলতে দেখা যায়,আর এই ময়ুরদের চাক্ষুষ করতে বছরভর বহু মানুষ আসে এখানে । কিন্তু সে সুসময় আজ অতীত, বড্ড কঠিন সময় এখন দিন কাটছে ওদের। গ্রামের মুস্টিমেয় কিছু বাসিন্দারা বছরভর এদের লালন পালন করে আসছে।বর্তমানে করোনার জেরে লকডাউন চলছে চারিদিকে। এই গ্রামের এখন চাষের কাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে। লকডাউনের ফলে এই সময়ে মানুষেরই খাবারের যোগান এখন কঠিন হয়ে পরছে। গ্রামেররই কল্লা পরিবার জানায় মুলত চাল ও গম খেয়ে থাকে এখানকার ময়ুররেরা, সেই চাল ও গমের ভান্ডার এখন প্রায় শুন্য, সারাটা দিনে যে খাবার ওদের দরকার তার এক ভাগও দেওয়া যাচ্ছে না এখন।
আমাদের কার্ড পিছু রেশন দোকানে যে পরিমাণে চাল ও গম পাওয়া গেছে সেটা দিয়েও ওদের পর্যাপ্ত পরিমানে খাবারের জোগান দিতে পারা যাচ্ছে না। চারিদিকে ঘুরে ঘুরে যে টুকু খাবার খায় ওরা, কিন্তু খাবার সময় হলেই চলে আসে বাড়ির সামনে, ডাকতে থাকে ওরা, তখনই চোখে জল চলে আসে আমাদের, উপায় না দেখে অল্প কিছু দিয়ে ওদের তারিয়ে দিই।এখন আমাদের ই অবস্থা ভালো নয়।কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।তাই কি আর করবো।পঞ্চায়েত প্রধান থেকে বিধায়ক, সবার কাছে গিয়েছি ওদের খাবারের জোগানের জন্য, কিন্তু কেউই সারা দিলো না। এখন যা দেখছি অনাহারে না মারা যায় ময়ুরেরা।এখন আশায় দিন গুনছে গান্ধী গ্রাম লকডাউন কবে শেষ হবে, কবে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পাবে দেশের জাতীয় পাখি।