হাওড়া,৩১ মার্চ:- লকডাউন পরিস্থিতিতে ঘরে কার্যত একাকী অবস্থায় সমস্যায় পড়েছিলেন ষাটোর্ধা মীরা আদক। তিনি হাওড়ার কদমতলা এলাকার বিশ্বেশ্বর ব্যানার্জি লেনের বাসিন্দা। শারীরিক কারণে বর্তমানে বাড়ির বাইরেও তেমনভাবে বেরোতে পারেন না তিনি। তাঁর তিন মেয়ে প্রত্যেকেই বিবাহিতা। তারা থাকেন দূরে। এমতাবস্থায় মীরাদেবীর ঘরে ভাঁড়ারেও টান পড়েছিল। খবর পেয়েই আমেরিকার বোস্টনে থাকা মীরাদেবীর বড় মেয়ে মৌসুমী মন্ডল আদক তিনি যোগাযোগ করেন হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে। সেই খবর পৌঁছে যায় সিটি পুলিশের কাছে। এরপর হাওড়া সিটি পুলিশের তৎপরতায় মঙ্গলবার দুপুরে মীরাদেবীর বাড়িতে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী যেমন চাল, ডাল, আলু, তেল, আটা, আনাজ, মশলাপাতি পৌঁছে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তৎপরতায় খুবই খুশি মীরাদেবী। তিনি বলেন, “আমার বড় মেয়ে মৌসুমী কর্মসূত্রে আমেরিকার বোস্টনে থাকে। মেজো মেয়ে মুকুলিকা থাকে তেঘড়িয়ায়। ছোট মেয়ে মোনালিসা থাকে কলকাতার গড়িয়ায়।
এই লকডাউন পরিস্থিতিতে সকলেই কার্যত ঘরবন্দি। ঠিকভাবে আমার ঘরে খাবার মজুত ছিল না। অসুবিধায় পড়েছিলাম। বড় মেয়ে মৌসুমী তা জানতে পেরে যোগাযোগ করে হাওড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে। এরপর হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে সব ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। পুলিশের এই কাজে আমি খুশি।” এদিকে, করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত হাওড়া সিটি পুলিশের ট্রাফিকের এসিপি অশোকনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) এর মাধ্যমে খবর এসে পৌঁছায় হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে। হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল উদ্যোগ নেন। নোডাল অফিসার হিসাবে সিটি পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা মীরাদেবীর বাড়িতে যান। তাঁর কি কি প্রয়োজন তা জানা হয়। এরপর প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয় মীরাদেবীর বাড়িতে। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোই পুলিশের কাজ। পুলিশ সেই কাজই করেছে। এদিকে, পুলিশের এই কাজে খুশি মীরাদেবী নিজেও। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনকে।