মালদা,২৮ মার্চ:- জরুরী অবস্থায় রক্ত সঙ্কট মালদা মেডিক্যালে। আর এতেই বিপাকে পরেছে রোগী ও তার আত্মীয়রা। আর এই পরিস্থিতে এগিয়ে আসলো একদল যুবক। তাদের উদ্যোগে দশজন করে প্রতিদিন রক্তদান করছে মেডিক্যালে। আর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়েছেন প্রয়োজনীয় রক্ত নিয়ে আসা রোগীর আত্মীয়রা। রক্তের সঙ্কট মালদায়। এই নিয়ে উদবিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর।এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ব্লাড ডোনারদের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দান করার আবেদন জানানো হয়েছে। করোনার জেরে চলছে লক ডাউন। এমনিতেই এই সময়ে বিশেষত গত মরসুমে রক্তের অভাব ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে থাকেই। কারণ গরমের থেকে বেশি রক্ত দান শিবির আয়োজিত হয় শীতকালেই। আর সেই সব রক্তদান শিবিরের উপরে নির্ভর করে রক্তের যোগান থাকে ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে। কিন্তু এখন করোনার জেরে ঘর বন্দী মানুষ। রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা সম্ভবই নয়।ফলে তা আরো চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্য দফতরকে।বর্তমানে সমস্ত গুরুপের রক্ত শুন্য মেডিক্যাল কলেজ।
যা আগামী দিনে রোগীদের খালি হাতে ফিরে আসতে হবে। এখনো লক ডাউন উঠতে অনেক দিন বাকি। শুধু তাই নয় তারপরেও পরিস্থিতি কোন জায়গায় যাবে তাও বলা যাচ্ছে না। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে রক্ত দান শিবির করাও যাবে না। আর তা কতদিন কত মাস এখনো কিছুই বলা সম্ভব নয়। ফলে এই পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায় ভাবছে স্বাস্থ্য দফতর। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া রক্ত দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ডোনারদের আবেদন করা হচ্ছে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দান করে আসার জন্য। রক্ত দান শিবির লক ডাউনের সময় না করা গেলেও একক ভাবে কেউ রক্ত দিয়েই আসতে পারেন। সেই পরিকাঠামো তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এমনি পরিস্থিতি কালিয়াচক এলাকার এক যুবক আলমঙ্গীর খান বলেন,পরিস্থিত ভয়ঙ্কর। আর এ অবস্থার দিকে নজর রেখে নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে লক ডাউনের নির্দেশিকা মেনে দশ করে তিনদিন অন্তর রক্ত দান করবে।মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সামাজিক কর্তব্য। সেই কারনে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছে। রক্ত নিতে আসা এক রোগীর আত্মীয় জানান,এই সময় যা করছে ওই যুবকেরা তাতে প্রশংসার যোগ্য। এতে অনেক রোগী উপকৃত হবে।