প্রদীপ সাঁতরা ,২৬ মার্চ:- বুধবার থেকে শুরু হয়ে গেছে চৈত্র নবরাত্রি।করোনাভাইরাসের প্রকোপে দেশজোড়া লকডাউনে উৎসব হয়নি কোথাও। অযোধ্যাতেও নমঃ নমঃ করে পুজো সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবেদন জানালেন, যাঁদের আর্থিক সামর্থ্য আছে, তাঁরা এই একুশদিন ন’টা পরিবারের দায়িত্ব নিন। তাঁর কথায়, “সেটাই হবে সত্যিকারের নবরাত্রি।” এদিন সন্ধেবেলাই বিজেপি সদর দফতরে জরুরি বৈঠকে বসেছিল গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। ওই বৈঠকের পর বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা জানিয়েছেন, এই লকডাউনে বিজেপি দলগত ভাবে সারা দেশের পাঁচকোটি মানুষকে খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর আবেদনে আরও বলেছেন, লকডাউনে পশুদেরও সমস্যা হচ্ছে। সুযোগ থাকলে তাদের পাশে দাঁড়ানোরও আর্জি জানান মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর কথা কতটা বাস্তবসম্মত তা বাড়ির চারপাশ দেখলেই স্পষ্ট হচ্ছে। কুকুর, বেড়াল হত্যে দিয়ে থাকলেও সাধারণের সুযোগ থাকছে না তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার। ফলে গেরস্থের সঙ্কট পশুদেরও সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। এই একুশদিন প্রান্তিক মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তার প্রধান কারণ বিপুল জনসংখ্যা। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরলের মতো রাজ্যসরকারগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেবে। ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরুও করে দিয়েছে। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, “কাউকে যদি দেখেন খাবার পাচ্ছেন না, তাহলে পুলিশ-বিডিওকে খবর দিন। তাঁরা খাবার পৌঁছে দেবেন। একটু মানবিক হোন।” পর্যবেক্ষকদের মতে প্রধানমন্ত্রী হয়তো বুঝেছেন, সবটা সরকারি পরিকাঠামো দিয়ে হবে না। তাই উচ্চবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্তদের উদ্দেশে আবেদন জানালেন তিনি।