এই মুহূর্তে রাজ্য

কড়া হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর, লকডাউন ভাঙলেই সাজা,করোনা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ কেন্দ্র ও রাজ্যের।

 

প্রদীপ সাঁতরা ,২৩ মার্চ:-  লকডাউন ভাঙলে কড়া অবস্থান নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনকে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দেশের সব রাজ্যের কাছেই এমন বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে সেই কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন। বলা হয়েছে লকডাউন ভাঙলে বা কেউ কোয়ারেন্টাইনে যেতে না চাইলে, প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হবে। দেশের ১৩ টি রাজ্য ও ৮০ টি জেলার মধ্যে অধিকাংশ জায়গাতেই লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেকেই এখনও লকডাউনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে কিছুটা অসন্তোষের স্বরেই সতর্ক করতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন সকালে তিনি টুইট করে বলেন, “এখনও অনেকেই লকডাউনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দয়া করে নিজেকে বাঁচান, আপনার পরিবারকে বাঁচান। সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে সেগুলো পালন করুন।” এখানেই থামেননি প্রধানমন্ত্রী।

There is no slider selected or the slider was deleted.

এর পর কিছুটা কড়া ভাবেই বার্তা দিতে চেয়েছেন সবাইকে। তিনি বলেছেন, “রাজ্য সরকারগুলোর কাছে অনুরোধ করছি আপনারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।”
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে বলা হয়েছে, ক্যাবিনেট সচিবের তরফে সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে যে লক ডাউন ভাঙলে কয়েকটি ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা নিতে। যাতে তা দেখে বাকিরাও সতর্ক হয়। গতকাল নবান্নের তরফেও যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে স্পষ্ট বলা হয়, মহামারী নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ীই কিছু পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। কেউ সরকারি এই আদেশ ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে নবান্নের পক্ষে খুব জরুরি প্রয়োজন না হলে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ বা দেশের অন্য প্রান্ত থেকে ফিরেছেন এমন ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক ভাবে ঘরে থাকতে হবে। চিকিৎসকরা যাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলবেন তাদের অবশ্যই তা মানতে হবে।
লকডাউনের এই সব নিয়ম ভাঙা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

বলা হয়েছে কেউ জোর করে লকডাউন নীতি অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ১৮৮, ২৬৯, ২৭০, ২৭১ ধারা। সরকারি নির্দেশ অমান্য করার জন্য প্রযোজ্য হবে ধারা ১৮৮। জামিন অযোগ্য ২৬৯ ধারা কোনও সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানোর বিরুদ্ধে। এই ধারায় কমপক্ষে ছ’মাসের জেল ও জরিমানা হতে পারে। জামিন অযোগ্য ২৭০ ধারা জীবনের পক্ষে বিপজ্জনক এমন সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানোর বিরুদ্ধে। এতে দু’বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। জরিমানা তো আছেই। এছাড়া রয়েছে আইপিসি ২৭১। কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙলে এই আইন প্রযোজ্য। এতে কমপক্ষে ছ’মাসের জেল হতে পারে।

There is no slider selected or the slider was deleted.