প্রদীপ সাঁতরা , ২০ মার্চ:- ময়দান ঝিমিয়ে পড়লে ভোকাল টনিক দেওয়ার ভদ্রলোক আর রইলেন না। দীর্ঘ রোগভোগের পর জীবনাবসান হল কিংবদন্তী ফুটবলার তথা কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। শুক্রবার বেলা 2 টোর পরে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাঃস ত্যাগ করেন পিকে। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই হুইলচেয়ার তাঁর সঙ্গী ছিল। বাইরের অনুষ্ঠানে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। মাঝে হাসপাতালে ভর্তি হলেও ফিরেছিলেন বাড়িতে। কিন্তু এবার আর ফিরলেন না। নিভে গেল ময়দানের ‘প্রদীপ’। গত বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। সোমবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। কিন্তু আজ দুপুরেশেষ হল যুদ্ধ।ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান বা মহামেডানের মতো বড় ক্লাবে খেলেননি কখনও। তবু এরিয়ানস, ইস্টার্ন রেলের মতো ক্লাব থেকে ভারতীয় ফুটবলের নক্ষত্র হয়ে উঠেছিলেন পিকে। ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন জলপাইগুড়িতে জন্ম প্রদীপবাবুর। ছোট থেকেই ফুটবল ছিল ধ্যানজ্ঞান। একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বল না পেলে ছোবড়া সমেত নারকেল নিয়েই দু’পায়ে নাচাতেন তিনি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিহারের হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেছিলেন পিকে। তারপর বাবার চাকরি সূত্রে গোটা পরিবার চলে আসে কলকাতায়। পিকে যোগ দেন এরিয়ানে।