এই মুহূর্তে খেলাধুলা

সেরা সতীর্থ থেকে শিক্ষার্থী পিকে ব্যানার্জির মৃত্যুতে শোকাহত সকলেই।


তরুণ মুখোপাধ্যায় , ২০ মার্চ:-  অবশেষে নিভে গেল ভারতীয় ফুটবলের সোনার প্রদীপ কিংবদন্তি প্রদীপ ব্যানার্জি। শুক্রবার বেলা দুটোর সময়ে কলকাতার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন  পিকে ব্যানার্জি । ভারতীয় ফটবল যতদিন থাকবে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে । একাধারে তিনি ছিলেন যেমন বড় খেলোয়াড় কোচ অন্য দিকে বড় মনের মানুষ। তার হাত ধরে কত ফুটবলার ভারতীয় ফুটবলের তারকার মর্যাদা পেয়েছে তার শেষ নেই। গৌতম সরকার , সুধীর কর্মকার , সুব্রত ভট্টাচার্য , প্রসূন ব্যানার্জি ,প্রশান্ত ব্যানার্জি , আকবর ,হাবিব মতো শিষ্যরা তার প্রয়ানে মুহ্যমান । সংবাদ শুনে শোকে ভেঙে পড়েছেন তার সতীর্থ চুনী গোস্বামী , তুলসিদাস বলরামরা। ১৯৫৮ সালে তিন প্রধানের বাইরে ইস্টার্ন রেল কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই বিজয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন পিকে। শুধু তাই নয় এই রেল দলে খেলাকালীন তিনি রোম অলিম্পিকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                               বলরাম বলেন  ভারতে যতদিন ফুটবল থাকবে পিকের নাম থাকবে,কেউ ভুলে যাবে না।উত্তরপাড়ার বাড়িতে বসে এক সময়ের সতীর্থ সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত তুলসী দাস বলরাম। ১৯৬২ সালে জাকার্তা এশিয়াডে ভারতের সোনা জেতার কারিগর ছিলো পিকে চুনি বলরাম এই ত্রয়ী।জাকার্তা এশিয়াডে যাওয়ার তিনদিন আগে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন বলরাম।ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে জানিয়ে দেন তিনি যেতে পারবেন না তার বদলে সুকুমার সমাজপতিকে নিয়ে যাওয়া হোক।পিকে সেই খবর জানতে পেরে বলেন বলরামের মরে গেলেও প্লেনে ওর ডেডবডি নিয়ে যাওয়া হবে।ওকে দলের প্রয়োজন আছে।ওখানে গেলে দুদিন রেস্ট নিলে সুস্থ্য হয়ে যাবে।এমনই ছিলো পিকে।অলিম্পিকে পিকের গোল এখনো মনে আছে বলরামের।ড্রেসিং রুমে খুব হাসাত গল্প করতে ভালোবাসত। একজন ভালো ফুটবলার,একজন ভালো কোচ যার থেকে দেশ অনেক কিছু পেয়েছে তাই পিকে কে ভুলবে না দেশের ফুটবল দর্শক।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ছিলেন যেমন কিংবদন্তি তেমনি কোচ হিসেবে তারনাম ভারতীয় ফুটবলে চিরকাল মনে রাখবে ফুটবল জগৎ। টানা পাঁচ বছর ঈস্টবেঙ্গলকে কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়ন করার মুল কারীগর যেমন পিকে তেমনি তার কোচিং এ সবুজ মেরুন মোহন বাগানও বহু সাফল্য পেয়েছে । তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার অন্যতম প্রিয় ছাত্র সুধীর কর্মকার। স্মৃতিচারণ করতে সুধীর কর্মকার বলেন খেওয়ারজীবনের কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তার মতো বড় মনের মানুষের সংস্পর্শে তিনি খুব কম এসেছেন। আজ খেলোয়াড় হিসেবে যাকিছু তার বেশির ভাগটা পিকে ব্যানার্জির জন্য আজ তার মৃত্যুতে শুন্য হয়ে গেল ভারতীয় ফুটবলের আঙ্গিনা। আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

There is no slider selected or the slider was deleted.