কলকাতা ,১৯ মার্চ :- এত শর্ট টাইম এর মধ্যে সবাইকে আসতে হয়েছে তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমি বিশ্বাস করি প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর’। বেসরকারি হাসপাতালে দিকটা আমাদের ভাবতে হবে কারণ আপনারা অনেক মানুষকে ট্রিটমেন্ট দেন। গভঃ সেক্টর ও প্রাইভেট সেক্টর আমরা একসঙ্গে কাজ করব। আইসিএমআর একটা গাইডলাইন দেবে আপনারা একটু প্রস্তুত থাকবেন সেই গাইডলাইন মেনে আমরা যেন সঙ্গে সঙ্গে কাজ করতে পারি। প্রাইভেট হাসপাতাল ও নার্সিং হোম যেগুলো রয়েছে তাদেরকে নিয়ে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হোক আমাদের স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমার মেন্টেন করবেন। আইসোলেশন এর জন্য আমরা দুটো জায়গা রেডি করেছি একটা রাজারহাটে আরেকটা নিউটাউনে। শুধুমাত্র বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে উপর খুব চাপ পড়ছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ তারা খুব ভালো কাজ করছে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্যানিটাইজ করা ছয়টা অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে। যাতে অনেক বেশি রোগী হয়ে গেলে ওখান থেকে অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করা যায়। এই সময়টা ঝগড়া করা নয়, আইন না মানার নয়, ব্যবসা করার নয়। আইডি হাসপাতালে যে ছবিটা আছে সেটা আমরা ১০০ টা বেড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাঙ্গুর হাসপাতাল ১৫০ টি আইসোলেটেড বেড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরজিকর হাসপাতালে যে নতুন তৈরি করা নাইট শেল্টার ভবনটি রয়েছে সেটা এখনো কাজে লাগানো হয়নি, এখন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তাকে হাসপাতালে পরিণত করে নেওয়া হোক। আরজিকর হাসপাতালে কুড়িটি আইসোলেশন রাখার সিদ্ধান্ত। আইডি হাসপাতালের আশেপাশে যদি কোন বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম পাই তাহলে সেটা কেউ আমরা এই কাজে ব্যবহার করব। এত আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, কিন্তু সামনের ২,৩ সপ্তাহটা খুব দরকারি। আমরা ৩০০ ভেন্টিলেশন মেশিন অর্ডার দিয়েছি।এরমধ্যে ৭০ টা আমরা অলরেডি পেয়ে গেছি। দু লক্ষ মাস্ক, ১০ হাজার থার্মাল গান আমরা অর্ডার দিয়েছি। ডিস ইনফেকশন আরো বাড়াতে হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, কিন্তু আমাদের এটা সিরিয়াসলি নিতে হবে। সমস্ত SO IC দের বলছি, জেলার সব পুলিশ আধিকারিকদের বলছি, কেউ কেউ অযথা বাড়তি হোর্ডিং করছে এবং এর পাশাপাশি অনেকেই গুজব ছড়াচ্ছে আপনারা ভিজিলান্স করুন। ২৪*৭ আমাদের কাজ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে কিট আমরা পাচ্ছি না। কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করব এই কিটগুলো যদি আরো বেশি দেওয়া যায় এবং জেলাতে যে ল্যাব তৈরির জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল সেইগুলোর পারমিশন যাতে কেন্দ্রীয় সরকার তাড়াতাড়ি দেয়, কারণ এখন যদি না দেয় তবে পরে দিলে কোন লাভ হবেনা। টাইম ইস রানিং আউট। আমরা গরিবের সরকার।এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কোন সাহায্য পাই নি। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুলোকে আমি অনুরোধ করব যাতে বনগাঁ বা রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে অনেকগুলো ট্রাক রয়েছে, সেগুলো ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। যে যে দেশ থেকে এসেছে বা যে জায়গা থেকে সেখানে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। একটা ডিজাস্টার রুখতে গিয়ে আমরা কেন আরো একটা ডিজাস্টার এলাও করব।
Related Articles
সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রী রাম স্লোগান , প্রতিবাদে শুধু ”জয় হিন্দ , জয় বাংলা” বললেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা , ২২ জানুয়ারি:- প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিয়ে বাঁধল বিতর্ক। প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে সংস্কৃতি মন্ত্রকের আয়োজনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এর সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী র পাশাপশি বক্তার তালিকায় নাম ছিল মমতার। কিন্তু তার বক্তব্য রাখার আগেই তাল কাটে।বক্তা হিসেবে তাঁর […]
লকেট চ্যাটার্জীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
সুদীপ দাস , ৬ ডিসেম্বর:- দীর্ঘদিন এলাকায় না আসার অভিযোগ তুলে সাংসদ লকেট চ্যাটার্জীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। ঘটনাটি হুগলির রাজহাট এলাকায়। দলের জন সম্পর্ক অভিযান উপলক্ষে দিন কয়েক ধরে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে লকেট চ্যাটার্জী। এই কর্মসূচীতেই আজ হুগলির পোলবা থানার রাজহাট এলাকায় দলীয় কর্মী বৈঠকে আসেন সাংসদ। পোলবার একটি পার্কে […]
করোনাকে উপেক্ষা করেই বছরের প্রথম দিন ভিড় আছড়ে পড়ল দিয়ারা পার্কে।
হুগলি, ১ জানুয়ারি:- করোনার তৃতীয় ঢেউকে উড়িয়ে নমবর্ষের প্রথম দিনে আনন্দে মাতোয়ারা ৮ থেকে ৮০ সকলেই। জন সুনামি আছরে পড়লো সিঙ্গুরের দিয়াড়ার পার্কে। কেউ পরেছে মাস্ক, আবার কারো কারো মুখে নেই মাস্ক। তবুও নতুন বছরের প্রথম দিনে শীতের দুপুরে উষ্ণতা গায়ে মেখে চলছে উদ্মাম নাচ। তবুও আশাহত দিয়াড়া পার্ক কর্তৃপক্ষের। নতুন করে করোনা পরিস্থিতি ও […]