এই মুহূর্তে জেলা

হুগলীর উত্তরপাড়ায় অত্যাধুনিক জল প্রকল্প , সুফল পাবে সাত পুরসভা ও ছয় পঞ্চায়েত।

হুগলি , ১৯ মার্চ :-  জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথেই বাড়ছে জলের চাহিদা, বিশেষ করে সেই জলের চাহিদা চরম আকার নেয় জ গ্রীষ্মকালে।এবার সেই জলের সংকট অনেকটাই চাহিদা মেটাবে উত্তরপাড়ায় ধর্মতলা এলাকায় কাজ শুরু হওয়া এক অত্যাধুনিক জল প্রকল্প।একটা সময় হুগলীর উত্তরপাড়া কোতরং এলাকার এই গঙ্গার ধারে পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের জমিতে ফ্লিম সিটি করার ঘোষণা করা হয় , কিন্তু নানা কারণে তা বাস্তবায়িত না হওয়াতে সেই এলাকায় তেরি হচ্ছে এই প্রকল্পের কাজ। ‘কেএম ডি এ’এর উদ্যোগে প্রায় সাত একর জমিতে হতে চলা এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে উপকৃত হবেন এই এলাকা সহ পার্শবর্তী কয়েক লক্ষ বাসিন্দা।গঙ্গা থেকে জল তুলে সেই জল বিশেষ পদ্ধতিতে শোধন করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে একটি নির্দিষ্ট জলাধারে,তারপর সেই জলাধারে ফের পরিশোধন করে তা পাইপ লাইনের মাধ্যমে চলে যাবে পুরসভা ও পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় তৈরী জলাধারে এবং সেখান থেকেই পৌছে যাবে এলাকার বাড়ীতে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                        ২৫০ এমএলডি ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্প থেকে  সুফল পাবে হুগলীর মোট ৭টি পুরসভা অর্থাৎ উত্তরপাড়া, কোন্নগর, রিষড়া,শ্রীরামপুর, ডানকুনি, চাপদানী, বৈদ্যবাটি পুরসভার মতো কানাইপুর, নবগ্রাম,রিষড়া রঘুনাথপুর,পেয়ারাপুর, ,রাজ্যধরপুর সহ মোট ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই প্রকল্পের কাজের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় আধিকারিকরা আসছেন। ।সিইও অন্তরা আচার্য জানান আমাদের এখন লক্ষ দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করা,সেই জন্য প্রতি পনেরো দিন অন্তর এই প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে আসবেন পদস্থ ইঞ্জিনিয়াররা। উত্তরপাড়া কোতরং পুরসভার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব জানান মানুষের দৈনন্দিন জলের চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রায় ১৬০০ কোটি ব্যয়ে তৈরী এই প্রকল্প স্বাধীনতার পর বাংলার সব চেয়ে বড় জল প্রকল্প।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                             যে প্রকল্পের ফলে উপকৃত হবেন প্রায় আঠারো লক্ষ মানুষ। তাই একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নিয়মিত খবর নিচ্ছেন কাজের অগ্রগতি নিয়ে।আমরা আশাবাদী এই প্রকল্পের কাজ সময়ে শেষ হবে। প্রকল্পের এক আধিকারিক জানান আগামী দিনে শতাধিক কর্মীর কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে। স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস সরকার জানান খুব ভাল উদ্যোগ,বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হবে।এখন দেখার এই প্রকল্পের কাজ কত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে পাওয়া যায় পরিশ্রুত পানীয় জল,তার অপেক্ষায় এলাকাবাসী।

There is no slider selected or the slider was deleted.