হাওড়া,১৫ মার্চ :- ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে রবিবার ১৫ মার্চ দলের পুরানো কর্মীদের সম্মান জ্ঞাপন করতে স্বীকৃতি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সকালে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার উদ্যোগে উত্তর হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় এই নিয়ে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সালকিয়া বাবুডাঙা এলাকার দেবাঙ্গন হলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দলের পুরানো কর্মীদের সম্মানিত করা হয়। দল গঠনের ক্ষেত্রে এদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। অন্যদিকে, এদিন দুপুরে মধ্য হাওড়াতেও সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের উদ্যোগে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে অনুরূপ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি হয় শিবপুর মন্দিরতলায় সাধন মজুমদার লেনের কুন্ডু ভিলায়। ওই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে এদিন অরূপ রায় সাংবাদিকদের বলেন, দলের যে ৭৫ দিনের কর্মসূচি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২ মার্চ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ঘোষণা করেছিলেন তারই অঙ্গ হিসেবে আজকের এই কর্মসূচি। দলের পুরোনো কর্মীদের মধ্যে যারা একটু কম সক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন,
দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যারা নিয়মিত আসছিলেন না, তাদের সকলকে আজকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তারা এখানে এসেছেন। তাদের আমরা সম্মানিত করেছি। একসঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজন করেছি। তারা সকলেই দলের সঙ্গে আছেন এবং আগামী দিনেও দলের লড়াইয়ে সঙ্গে থাকবেন। এদের মধ্যে অনেকেই এতদিন সময়ের অভাবে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে আসতে পারতেন না। অনেকে ঠিকমতো দলীয় কর্মসূচির খবর পেতেন না, অনেকে বিভিন্ন কারণে দলের কোনও কর্মীর আচরণে হয়তো দুঃখ পেয়েছিলেন কোন কারণে বা কোনও কারণে হয়তো আঘাত পেয়েছিলেন এদের সকলকে আমরা আজকে ডেকেছিলাম। আমাদের দলে পুরনোদের সঙ্গে নতুনদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। অনেকেই দীর্ঘ ‘৯৮ সাল থেকে দলের জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করে আসছেন। এমন কর্মীদের সকলকেই এদিন ডেকেছিলাম। আজকে একসঙ্গে আমরা মিলিত হয়েছি। আমি আজকে নিজের মোবাইল নাম্বার সকলের হাতে তুলে দিয়েছি যাতে আগামী দিনে কারও যদি কোনও বিষয় নিয়ে কোনও অভাব অভিযোগ থাকে বা কিছু তারা জানাতে চান তারা সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলবেন। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলব। দলের কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। কর্মীদের নিরলস সংগ্রামের মধ্য দিয়েই দল আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছে। পুরোনো কর্মীদের যখনই কোনও প্রয়োজন হবে এরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমি কথা বলব। মধ্য হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচিতে পুরোনো কর্মীদের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজেও মিলিত হন মন্ত্রী। সেখানে অরূপ রায় নিজে কর্মীদের দুপুরের খাবার পরিবেশন করেন।