মালদা,৮ মার্চ:- ট্রেনের চালক থেকে টিটিই, গার্ড এক্সামিনার , নিরাপত্তাকর্মী সকলেই মহিলা। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের অভিনব উদ্যোগে মালদা থেকে বর্ধমান প্যাসেঞ্জার ট্রেন চললো মহিলাদের নিয়ে। একবিংশ শতাব্দীতে সমাজের উচ্চ শিখরে মহিলারা যে স্বনির্ভর, তা এদিনের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে মালদায়।রবিবার দুপুর তিনটায় মালদা টাউন স্টেশন থেকে মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত মালদা – বর্ধমান প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সূচনা করেন ডিআরএম জিতেন্দ্র কুমার। ছিলেন পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের পদস্থ কর্তারা। সাহেবগঞ্জ রামপুরহাট হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেনটি পৌঁছাবে বর্ধমানে। ওই ট্রেনের সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। তবে এই ট্রেনটি মহিলারা রামপুরহাট পর্যন্তই পরিচালনা করবেন। সেখান থেকেই চালক, গার্ড, নিরাপত্তাকর্মী পরিবর্তন করা হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
মালদার ডিআরএম জিতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, মহিলারাও যে কোন কিছুতে পিছিয়ে নেই তা এদিন প্রমাণ করে দেওয়া হয়েছে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়েছে মহিলারা । নারী দিবস উপলক্ষে এদিন মালদা – বর্ধমান প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি মহিলাদের দ্বারা পরিচালনা করা হয়েছে । মোট ১১ জন মহিলা কর্মী, চালক , নিরাপত্তারক্ষী, গার্ড রয়েছেন । তাদেরকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি। আমরা চাই এই ভাবেই মহিলারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাক। পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা বর্ধমান প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক রয়েছেন পিয়ালী রায়, সহকারী চালক তিয়াসা দত্ত। ওই ট্রেনের গার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন অঞ্জু ওঁরাও। টিটিই’র দায়িত্বে রয়েছেন ঝুম্পা চাকী, পাখি বাসফোর, কবিতা চক্রবর্তী । ওই ট্রেনের এক্সামিনার লুসি শর্মা, ডেপুটি এসএসএম রয়েছেন দীপিকা দত্ত। এছাড়াও ওই ট্রেনের নিরাপত্তা কর্মী (আরপিএফ) দায়িত্বে রয়েছেন লক্সমি সিং , রূহা কুমারী, পুস্পা কুমারী , কামনা চৌধুরী এবং স্টেশন পোর্টার ফুলমনি কিস্কু।
এদিন মালদা টাউন স্টেশন এর ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে বিকেল তিনটে নাগাদ মালদা-বর্ধমান প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সবুজ পতাকা উড়িয়ে সূচনা করেন মহিলা চালক পিয়ালী রায় । যদিও এই ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। ট্রেনটি চালু হওয়ার আগেই করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সর্তকতা প্রচারপত্র যাত্রীদের মধ্যে বিলি করেন ডিআরএম জিতেন্দ্র কুমার। ওই ট্রেনের মহিলা যাত্রী পিয়ালী রায় বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এদিন এই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ট্রেনটি মহিলা দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। আমাদের খুব ভালো লাগছে এই ট্রেনটি চালাতে পেরে । তবে রামপুরহাট পর্যন্ত আমাদের নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সমাজে দেখিয়ে দিতে চাই কোন কিছুতেই মহিলারাও পিছিয়ে নেই। সমাজের উচ্চ শিখরে মহিলারা এখন পৌঁচেছে।