হাওড়া,৭ মার্চ :- রবীন্দ্রভারতীতে বসন্ত উৎসবে তরুণ-তরুণীদের ‘অশ্লীল’ শব্দ লেখার বিরুদ্ধে স্নিগ্ধ প্রতিবাদ জানালো উলুবেড়িয়া মাধবপুর চেতনা সমিতির চার মহিলা সদস্যা। সমিতির চার মহিলা সদস্যা হলুদ রঙের কুর্তি পড়ে পিঠে লিখে দিলেন ‘রবি ঠাকুর ক্ষমা করো’। এমন অভিনব প্রতিবাদ কে বাহবা জুগিয়েছে নেটিজেন। মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির নেত্রী জয়িতা কুন্ডু জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কাণ্ডটি ক’জন তরুণ-তরুণীরা ঘটিয়েছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনটা মানা যায় না। আমরা শনিবার মাধবপুর এলাকার একটি বট গাছের তলায় হলুদ কুর্তি পড়ে পিঠে ‘রবি ঠাকুর ক্ষমা করো’ লিখে স্নিগ্ধ প্রতিবাদ জানিয়েছি ।
রবীন্দ্রভারতীর ঘটনাটি দেখে সমাজের নানা মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নিজেদের অতি আধুনিক প্রমাণ করতে গিয়ে সমাজকে চরম অবস্থার সম্মুখীন করেছে এমনটাই মত সাধারণ মানুষের। রবীন্দ্রনাথের গানের পংতি পিঠে রং দিয়ে লেখা চরম অপমান জনক। অনেকে জানিয়েছেন এই ঘটনার সাজা না হলে প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। প্রবীণদের কথায়, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গুলোতে হাসি-তামাশা, আনন্দ-ফুর্তি সব-ই চলুক। তবে সভ্যতার ছিটকিনি তুলে দিয়ে অসভ্যতার দ্বার খুলে দেওয়া কাম্য নয়। শহরে বসন্ত উৎসব সে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি হোক বা রবীন্দ্রভারতী। রঙের ফাগ মাখতে, মাখাতে আর ওড়াতে সদলবলে হাজির হয়ে যায় নেটিজেন। এতকাল এটাই ছিল দস্তুর। কিন্তু বৃহস্পতিবার যেমনটা ঘটালেন কিছু তরুণ-তরুণী তা এককথায় নিন্দনীয় এবং অপরাধমূলক।