এই মুহূর্তে জেলা

করোনা-আতঙ্ক রং বিক্রি কমলেও, বেড়েছে পাইকারী আবির বিক্রি।

 

হাওড়া,৬ মার্চ:-  মাঝে বাকি একটা দিন। তারপর ‘স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল’। শহরজুড়ে বসন্ত উৎসব। রঙের ফাগ মাখতে, মাখাতে আর ওড়াতে খুশির সাগরে আম-জনতা। করোনা-আতঙ্ক কতটা প্রভাব ফেলেছে ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে খোঁজখবর নিতে উঠে আসল বেশকিছু তথ্য। দোল কাছাকাছি আসলে বড়বাজার এলাকা থেকে রং, আবির, পিচকারি, টুপি কিনে শহরতলি এবং গ্রামাঞ্চলে বিক্রি করা হয়। দোল উপলক্ষে ওই সমস্ত মেখে রঙের উৎসবে মাতবে আম জনতা। কিন্তু এ বছর করোনা-আতঙ্ক ব্যবসায়ীদের লক্ষ্মীলাভে থাবা বসিয়েছে। বড়বাজার এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ীদের একাংশের কথায়, রং বিক্রি কিছুটা কমেছে। তবে আবির বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু খুচরো ব্যবসায়ীদের কথায়, এক দশক হয়ে গেল ফুটপাথের ধারে অস্থায়ী দোকান বানাই। দোলের কয়েকদিন আগে থেকেই কলেজপড়ুয়ারা আবির রং কিনে নিয়ে যায়। আর দোলের দু-একদিন আগে থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা কিনে নিয়ে যান। এ বছর এখনো বিক্রি জমেনি। দরদস্তুর করার পর কিনছেন তাও আবিরের প্যাকেট।

There is no slider selected or the slider was deleted.

এবার রং, আবির, পিচকারি, বেলুনের পাশাপাশি মাস্ক, টুপি বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ চোখেলাগা সামগ্রী বাইরের দেশের বলে অনুমান করছে ক্রেতারা। ক্রেতাদের মতে রং খেলা বিরত রেখে শুধুমাত্র আবিরে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কিন্তু দোলে রঙের হুল্লোড় কি আবিরে মন ভরবে? প্রশ্ন শুনে কদমতলা এলাকায় একটি শপিংমলে কাজ করা অমিয় স্যানালের কথায়, আবির ও ফুলের পাপড়ি দিয়ে রবিঠাকুর ‘বসন্ত উৎসব’ শুরু করেছিলেন। আমরা যতই রং মাখি আবিরের বিকল্প কিছুই হয় না। ভেষজ রং বাজারে চাহিদার তুলনায় কম থাকে। বাধ্য হতে হয় চলতি রং কিনতে। অন্যদের কথায়, বাজারে বিভিন্ন রঙের সুগন্ধ আবির প্যাকেট ভরে বিক্রি হচ্ছে। দেখে-ই মনে হচ্ছে দেশীয় নয়। কিন্তু বসন্তের রং পরিবারের গায়ে মাখাতে আবিরের মাঝে অল্প হলেও রং কিনতে হচ্ছে। তবে পিচকারি কেনা একদমি বন্ধ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.