এই মুহূর্তে জেলা

অবশেষে কিনারা করল শাসনের রহস্যময় মুণ্ডহীন তরুণী গৃহবধূর দেহ উদ্ধার মামলার ।

উঃ২৪পরগনা,২৭ ফেব্রুয়ারি:-  একাধিক পুরুষদের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কের কারণে প্রেমিকের রোষই কাল হল বিবাহবিচ্ছিন্ন গৃহবধূর ।আর কার্যকারণ খতিয়ে দেখে পুলিশই দেরীতে হলেও মোবাইল কলের সুত্র ধরে অবশেষে কিনারা করল শাসনের রহস্যময় মুণ্ডহীন তরুণী গৃহবধূর দেহ উদ্ধার মামলার । মাসের গোড়ায় উদ্ধার হওয়া মহিলার মুন্ড উদ্ধার হল খুনের ২৭ দিন পর। খুনের ঘটনার পুননির্মান করার সময় শাসন চোলপুর মাছের ভেড়ির জল থেকে মুণ্ড বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়ার আগেই অবশ্য পুলিশ গুটিয়ে আনে তদন্তের জাল । গ্রেপ্তার হয় নৃশংস খুনের পেছনে থাকা অভিযুক্ত প্রেমিক আবদুল নঈম মোল্লা । খুন হওয়া মহিলার ফোনের কল থেকে পুলিশ খুনের মোটিভ ও মোডাস অপারেন্ডি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় ।প্রেমে প্রত্যাখ্যান ও উদ্ভূত প্রতিহিংসা খুনের কারণ জানিয়েছে পুলিশ । পুলিশ এও জানিয়েছে ফোন করে শাসনের ভেড়ি এলাকায় ডেকে খুন করা হয় তরুণী গৃহবধূকে । এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুণ্ড বিচ্ছিন্ন করে পাশের জলাতে পুঁতে রাখা হয় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার উদ্দেশ্যে ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

উত্তর চব্বিশ পরগনা পুলিশ জানিয়েছে, বিবাহবিচ্ছিন্ন মহিলার সাথে বল্গাহীন প্রেমের ইতি ঘটে ক্রোধে ও প্রতিশোধের বাসনায় । এই ক্রোধের নেপথ্যে মহিলার বিবাহে রাজি না হওয়া এবং অন্যপুরুষদের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক ।প্রেমিক জানতে পারে , পরপুরুষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে শারিরীক সম্পর্ক তৈরী করত তার প্রেমিকা । জানতে পেরে ক্রোধ পর্যবেশিত হয় প্রতিশোধের ইচ্ছায় । মানসিক ভাবে এত তীব্র প্রতিশোধ বাসনা জন্মায় বছর তেইশের নঈমের যে প্রেমিকার গলা কেটে খুন করে ।প্রসঙ্গত, গত 31 তারিখ হাড়োয়ার সায়ের বাজারের বাসিন্দা বছর তেইশের তরুণী গৃহবধূর নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয় ১ ফেব্রুয়ারি শাসনের একটি মাছের ভেড়ি থেকে । সেই ঘটনাযর সাতদিন পর পরিবারের লোকজন মৃতদেহ শনাক্ত করে । এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে মোবাইল ফোন কল সুত্র ধরে নইমকে গ্রেফতার করল।

There is no slider selected or the slider was deleted.

উত্তর চব্বিশ পরগনার পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেন, বুধবার পুলিশ গ্রেফতার করে নইমকে। বারাসত আদালত থেকে দশ দিনের পুলিশ হেফাজত নিয়ে ফরিদা খুনের সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা এবং খুনের ঘটনার বাকি অংশ কিনারা করতে জেরা করছে পুলিশ।মৃতার বাবার অভিযোগ ব্যাংক থেকে টাকা তোলার জন্য ৩১ তারিখ বাড়ি থেকে বার হয় ওই যুবতী তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল । এই মর্মে হাড়োয়া থানায় নিখোঁজ মামলা দায়ের করেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা । ওই যুবতীর বাবার অভিযোগ ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । অভিযোগ , মহিলাকে ধর্ষণ করে ভেড়ির জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তার শরীরে ধর্ষণের কিছু চিহ্ন পাওয়া যায় । বুধবার ঘটনার তদন্তে নেমে শাসন ও হাড়োয়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত নইমকে গ্রেফতার করে হাওড়ার ডোমজুড় থেকে ।আর বৃহস্পতিবার মহিলার কাটা মুন্ডু উদ্ধার হয়।

There is no slider selected or the slider was deleted.