মালদা,২৭ ফেব্রুয়ারি:- ১০০ দিনের কাজে কলাবাগান চাষ প্রকল্পে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বরই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। কলাবাগান চাষ এ মজুরের কাজ না করেই ফলস জব কার্ড দিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নন্দী বাটি গ্রামে আফতাব উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন দুই ভাই অভিযোগ করেন তাদের জমিতে পঞ্চায়েতের এমএমডি স্ক্রিম এর মাধ্যমে একটি কাজের প্রকল্প হয়েছিল। জমিতে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে তাদের পরিবারকে ঐ প্রকল্পে লেবারের কাজ দেওয়া হয় । লেবার পেমেন্ট বাবদ আড়াই লক্ষ টাকারও বেশি মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু পেমেন্টের সময় দেখা যায় মাস্টাররোলে গ্রামের আরো 9 জন ব্যক্তির নাম আছে যারা ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু তাদের জব কার্ড নম্বর অফিস ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিয়ে টাকা তোলা হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।যদিও এ প্রকল্পগুলির কাজ তাদের পরিবারের সবাই মিলে করেছিলেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে অভিযোগ করতে গেলে তিনি তাদেরকে ভুল বুঝিয়েছেন। বলেছেন এগুলি অন্য প্রকল্পের জন্য বরাদ্দের অর্থ ওই ব্যক্তিদের দাওয়া হয়েছে। তাদের প্রকল্প থেকে নয়। আফতাব উদ্দিন ও নাসির উদ্দিনের আরও অভিযোগ এ সমস্ত কাজের মধ্যে বরই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি দাস জড়িত আছে। তিনি ভুয়ো নাম ও ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিয়ে এই টাকাগুলো উঠিয়ে নিচ্ছেন। এর সঙ্গে কিছু স্থানীয় দলীয় নেতৃত্ব সমর্থন যোগাচ্ছে। এই সমস্ত বিষয়ে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু কে লিখিত আকারে জানিয়েছেন এর সাথে চাঁচল মহকুমাশাসক এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।এই নিয়ে শিমুলিয়া গ্রামের নাসিরুদ্দিন বাবু আরো অভিযোগ করেন শাসক দলের নেতা আফসার মাস্টারের সহযোগিতায় এলাকার শহীদ,রুহুল আক্তারের নামে টাকা একাউন্টে ঢুকেছে। যে টাকাগুলো লেবার পেমেন্ট বাবদ তাদের পরিবারের লোকের পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই স্কিমে কাজ করে তাদের পরিবারের 9 জনের নামে টাকা আসেনি। পরিবারের চারজনের নামে টাকা এসেছে বাকি পাঁচজন অন্য নামে টাকা ঢুকেছে। যারা কোনদিন ওই এমএমডি স্কিমে জড়িত ছিল না। এইভাবে ভুল নাম তথ্য দিয়ে স্কিমের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এতে পরোক্ষভাবে বরই গ্রাম পঞ্চায়েতেরপ্রধান সোনামনি সাহা জড়িত আছে বলে তারা মনে করছেন। এই প্রসঙ্গে বরই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহা জানালেন বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে অভিযোগ এখনো পাননি। অভিযোগ পেলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।