হুগলি,১৮ ফেব্রুয়ারি:- ও তো মানুষ , আর মানুষ মাত্রই ভুল করে জীবনে । একটা ভুলের জন্য ওর শাস্তিটা অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। আমরা চাই চন্দননগরে ওর পৈত্রিদাতব্যতে কোন দাতব্য চিকিৎসালয় গড়ে উঠুক। পাশাপাশি এখানে ওর একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হোক রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের এই আবেদন। প্রয়াত তাপস পাল সম্পর্কে এমনই দাবি তার প্রতিবেশীদের। প্রসঙ্গত চন্দননগর ধারা পাড়ায় তাপস পালের পৈত্রিক ভিটে। ছোট থেকে এই ধারা পাড়াতেই বড় হয়েছেন তাপস। স্থানীয় স্কুলের পড়াশোনা করে হুগলি মহসিন কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক হন তিনি। বাবা জি. সি পাল পূর্ববাংলার লোক। পশ্চিমবঙ্গে আসার সময় তার কাছে এল এম এফ ( লাইসেন্স মেডিকেল প্রাকটিশনার) ডিগ্রী ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
চিকিৎসকের সেই ডিগ্রীর জোরেই চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন জি. সি পাল। সে সময় থেকেই চন্দননগর ধাড়াপাড়া স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। স্ত্রী মীরা পাল গৃহবধূ ছিলেন। পাঁচ সন্তানের মধ্যে তাপস পাল একমাত্র পুত্রসন্তান। দুই বোন ও দুই দিদিরা পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হলেও সিনেমা জগৎকেই বেছে নেন তাপস পাল। 1980 সালে প্রখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদার পরিচালিত দাদার কীর্তি দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন তাপস বাবু। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাপস কে। সাহেব, ভালোবাসা ভালোবাসা একের পর এক সুপারহিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন। সারা রাজ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বোনের সাথে তার বিবাদ তাপস বাবুর জীবনের একটি কালো অধ্যায়। এরপর রাজনীতিতে এসে প্রথমে দক্ষিণ কলকাতা থেকে বিধায়ক এবং পরে কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূল সাংসদ হলেও সারদা রোজভ্যালি কাণ্ডে নাম জড়িয়ে গেছে তাপস বাবুর। টানা প্রায় এক বছর কারাবাস হয়েছে। সর্বোপরি ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে রেপ করিয়ে দেবো, আমি চন্দননগরের মাল। তৃণমূল সাংসদের সেই বিতর্কিত মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি রাজ্যবাসী। ভালোভাবে নেয়নি তার দলও সেজন্যই রাজনীতির অনেকটাই অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ভোর রাতে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অনেকটা অন্তরালেই ইহলোক এর মায়া ত্যাগ করলেন তাপস পাল। তার মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া গোটা চন্দননগরে। ধারা পাড়ার বাসিন্দাদের বক্তব্য সারদাকাণ্ডে তাপস পালকে বিজেপি ফাঁসিয়েছে। আর বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য মানুষই তো ভুল করে তাপসও একজন মানুষই ছিল, তবে সেই ভুলের জন্য শান্তি অনেকটা বেশি হয়ে গিয়েছিল। রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের আবেদন তাপস পালের পৈত্রিক ভিটেতে গড়ে উঠুক দাতব্য চিকিৎসালয়। এখানেই তার স্মৃতি সৌধ গড়ে উঠুক।Related Articles
মার্কিন মুলুকের পর এবার ইউরোপে দেখা যাবে চুঁচুড়ার অভিজ্ঞানের তথ্যচিত্র।
হুগলি, ২৯ এপ্রিল:- চুঁচুড়ার অভিজ্ঞান কিশোর দাসের তৈরি তথ্যচিত্র “আধুনিক ভারতের সুশ্রুত” মনোনীত হয়েছে স্লোভেনিয়ার ‘স্টুডেন্ট কাটস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’। আগামী ১১মে স্লোভেনিয়ার লুটমের শহরে প্রদর্শিত হবে তথ্যচিত্রটি। সরকারি আমন্ত্রণ জানান হয়েছে অভিজ্ঞানকে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। আড়াই হাজারের মত জমা পড়া চলচ্চিত্র থেকে বাছাই করা মাত্র পঞ্চাশটি চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে। তার মধ্যে অভিজ্ঞানের তথ্যচিত্রটি একমাত্র […]
সিডিউল না মেনেই তৈরি হচ্ছে রাস্তা, নবগ্রামে, অভিযোগে পোস্টার সিপিএমের সরব তৃণমূলও।
হুগলি, ২৬ আগস্ট:- রাস্তা আট ইঞ্চি পুরো করার কথা, সেটা কোথাও চার কোথাও ছয় ইঞ্চি হচ্ছে, প্রতিবাদে পোস্টার সিপিএম এর। তৃনমূল প্রাক্তন প্রধানেরও একই কথা। গতকাল কোন্নগর নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃনমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। আজ সেই পঞ্চায়েতেই পোস্টার মারল সিপিএম।প্রকারান্তরে অভিযোগ মেনেও নিলো তৃনমূল। নবগ্রাম কলেজ রোড ঢালাই হচ্ছে। আট ইঞ্চি পুরো হওয়ার কথা […]
উদ্ধার হওয়া প্রত্ন নিদর্শন বেহাত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে উদ্যোগী রাজ্য।
কলকাতা, ২৯ মার্চ:- রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্বার হওয়া প্রত্ন-নিদর্শন পাচার বা বেহাত হওয়ার হাত রক্ষা করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাজ্যের কোনও জেলা থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক কোনও নির্দশন উদ্ধার হওয়া মাত্রই রাজ্যর প্রত্নতাত্ত্বিক অধিকর্তাকে তা জানাতে হবে বলে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব শান্তনু ঘোষ […]