এই মুহূর্তে জেলা

বন্যপ্রাণ রক্ষা নিয়ে নাগরিক সচেতনায় জোর দিল কোন্নগর পুরসভা।

হুগলি,১১ ফেব্রুয়ারি:- রিষড়া বাখখালে বাঘরোলের মৃত্যু ও কোন্নগর কানাইপুরে বাঘের গুজবের পর বন্যপ্রাণ রক্ষা নিয়ে নাগরিক সচেতনায় জোর দিল কোন্নগর পুরসভা। জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পুর এলাকায় জন জীব বৈচিত্র নিয়ে সমীক্ষার জন্য পুরসভা স্বাস্থ্য ও সাফাই কর্মীদের রাস্তায় নামিয়েছে।পুরসভার মহিলা ও পুরুষ কর্মীরা বাঘখাল থেকে কোন্নগর ধারসা পেট্রল পাম্প পর্যন্ত মোট ২০টি ওয়ার্ডে বনবাদার,পুকুর,গঙ্গার চারপাশ ঘুরে বন্যপ্রানী,ভেষজ গাছ,সধারণ উদ্ভিদ,কীট পতঙ্গের তালিকা তৈরি করেছে।সেই সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরসভার কর্মীরা সাধারণ মানুষ কে বন্যপ্রাণ রক্ষার বিষয়ে সচেতন করেছে।কোথাও কোন বন্যপ্রাণ লোকালয়ে দেখতে পেলে ওই সমস্ত প্রাণীর কোন ক্ষতি না করে পুরসভায় খবর দেওয়ার কথা প্রচার করেন। পুরসভার ফোন নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে বিলি করেন পুরকর্মীরা।পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে জাতীয় গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে জন জীব বৈচিত্রের কাজ অনেক বছর ধরে পুরসভা করলেও নতুন বছরে বন্যপ্রাণ রক্ষা নিয়ে স্পেশাল ড্রাইভ দিয়েছে পুরসভা।মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে পুরসভার বেশ কয়েকটি দল টানা পনের দিন ধরে এলাকা ঘুরে ঘুরে কাজ করেছে।বন্যপ্রাণের সঙ্গে সঙ্গে লুপ্ত প্রায় গাছ পালার তালিকাও বানিয়েছেন পুরকর্মীরা।সমীক্ষার কাজ করতে গিয়ে পুরসভা এলাকায় ছাতিম,হাতির শুড়

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                         গাছ,বোধিবৃক্ষ,পান্থ পথিক গাছ,স্তড়বেরী গাছ,পাথরকুচি গাছ,চাঁদকেওরা গাছের হদিস মিলেছে।পুকুর ধারে হাঁসপোকা ও মথের মত পতঙ্গ এবং কুকুর মুখো সাপ,বেজির সন্ধান পেয়েছেন পুরকর্মীরা।এই সমস্ত গাছ পাতা ও কীট পতঙ্গের ছবি তুলে বিশেষঞ্জদের কাছে পাঠিয়ে পরামর্শ নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভার দাবি।সমীক্ষার পর পুর এলাকার বন্যপ্রাণ ও গাছের ছবি সহ তালিকা তৈরি করে একটি বই তৈরি করবে পুরসভা।সেই বই রাজ্যে জীব বৈচিত্রের দপ্তরে পাঠানো হবে।পুরসভায় সেই বই সংরক্ষণ করা রাখা হবে।সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা পুরসভার কর্মী অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরসভার কর্মীরা সমীক্ষার কাজ শেষ করেছেন।মাঠে পুকুরে ঘুরে ছবি তুলে কর্মীরা সমীক্ষার কাজ করেছেন। শীতের পর গরমের সময়েও একবার সমীক্ষা করা হবে।আমরা বন্যপ্রাণ ও গাছপালা ,কীট পতঙ্গের পূর্নাঙ্গ তালিকা তৈরি করেছি। সেই তালিকা আমরা বইয়ের আকারে প্রকাশ করব।কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা পুরসভার তরফে উদ্যোগ নিয়ে এর আগে গাছের কার্বণ ম্যাপিং করেছি।এবারে আমরা আমদের পুরসভার অধীনস্থ সাড়ে চার বর্গ কিমি এলাকা জুরে সমীক্ষা করে গাছ পালা,কীট পতঙ্গ ও বন্যপ্রাণের যে তথ্য সংগ্রহ করেছি সেগুলি আমরা রাজ্য সরকারের জীব বৈচিত্রের দপ্তরে পাঠিয়ে দেব পুস্তক আকারে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                সেই সঙ্গে এলাকার বাসিন্দারা বন্যপাণ রক্ষায় পুরসভার পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।পুরপ্রধান বলেন,সচেতনতাই পারে বন্যপ্রাণদের রক্ষা করতে।পুরসভার এই উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।তিনি বলেন, কোন্নগর কানাইপুরে বাঘরোল কে বাঘ ভেবে যে গুজব ছড়িয়েছিল তাতে প্রশাশন ও বনদপ্তরের কর্মীরা সবাই মিলে মাঠে না নামলে বাঘরোলের ক্ষতি হত।সচেতনতা মূলক প্রচারে কাজ হয়েছে।তবে পুরসভা বন্যপ্রাণ রক্ষায় যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা প্রশংসনীয়।পুরসভার এই উদ্যোগে কে সাধুবাদ জানিয়েছেন বন্যপ্রাণ নিয়ে যুক্ত সংগঠনের কর্মীরা।  

There is no slider selected or the slider was deleted.