মালদা,৭ ফেব্রুয়ারি:- মদ্যপ অবস্থায় এক দিনমজুর যুবককে গণধোলাই দিয়ে ছিনতাই করার অভিযোগ উঠল 5 যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার হলদিবাড়ি লাগোয়া বাগান এলাকায়। ঘটনায় প্রকাশ বুধবার রাত্রে হলদিবাড়ির বাসিন্দা পচা দাস হরিশ্চন্দ্রপুর এর একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করে বাড়ি ফিরছিল। এই সময় হলদিবাড়ি বাগানে তে তৈরি হওয়া মদের বার এর সামনে কিছু মদ্যপ যুবক তার পথ আটকায়।সাইকেল থেকে পচা দাসকে নামিয়ে বাঁশ লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তার সঙ্গে চলে লাগাতার কিল চড় ঘুষি। পচাকে রাস্তায় ফেলে তারা মারধর করেন। পচা দাস এর সঙ্গে থাকা সারা মাসের বেতন আনুমানিক 10 হাজার টাকা সোনার চেইন রুপোর আংটি প্রভৃতি ছিনিয়ে নেয় তারা। এরপর পচার চিৎকারে বাগানের স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে ওই মদ্যপ যুবকের মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। আহত পচা দাসকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ প্রসঙ্গে পচা দাস জানান তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন কার্তিকের মিষ্টির দোকানে কাজ করেন। সেদিন তিনি মাইনে পেয়েছিলেন। সেই মাইনে নিয়ে তিনি সন্ধ্যেবেলা বাড়ি ফিরছিলেন সে সময় পাঁচজন মদ্যপ যুবক তার পথ আটকায়। ওই মদের বারের সামনের রাস্তায় তাকে ফেলে বেধড়ক মারধর করার পরে তার সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার চিৎকারে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ছুটে গেলে তিনি রক্ষা পান। এখানে প্রতিদিনই রাত্রেবেলা মদ্যপ দের অত্যাচার বাড়ছে। দিনের বেলাতেও ছাত্রীরা এই এলাকা দিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। তিনি প্রায় মদ্যপ দের অবাধ বিচরণ চলছে এলাকায়। এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। ওই মাতালদের আক্রমণের ফলে তার সারা মাসের টাকা ছিনতাই হয়ে গেল বলে জানালেন পচা দাস।
এপ্রসঙ্গে আক্রান্ত পচা দাসের বাবা ঝাপ্পু দাস জানালেন হলদিবাড়ি বাগানসংলগ্ন মদের বারের জন্য এলাকায় দিনদিন অশান্তি বাড়ছে। আজকের তার ছেলে রাত্রে বেলা এভাবে আক্রান্ত হল। দিনের বেলা তো মধ্যক দের অত্যাচারে এলাকায় চলাফেরায় হয়ে উঠছে। প্রশাসন যদি অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এলাকাবাসী আরও সমস্যার সম্মুখীন হবে | এদিকে ওই মদের বারে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দুজনকে চিহ্নিত করা গেছে একজন বাপন ঘোষ ও অন্যজন হীরা প্রামানিক এদের দুজনের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত। এইবারের মালিক রাহুল প্রামানিক জানালেন ওই ছেলেগুলো বাইরে থেকে মদ খেয়ে এসেছিল এসে তার বারের সামনে হাঙ্গামা করে। ওই ছেলেটিকে মারধরের ভিডিও সিসিটিভি ফুটেজ ধরা পড়েছে তার ফুটেজ তিনি স্থানীয় থানা কে জমা দিয়েছেন। এইবার নিয়ে স্থানীয়দের যে অভিযোগ উঠছে তা তিনি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় অভিযুক্তদের খোঁজে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে |