কোচবিহার,৬ ফেব্রুয়ারি:- রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল তুফানগঞ্জ। বৃহস্পতিবার তুফানগঞ্জের রামপুরে বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুফানগঞ্জ ২ ব্লকের রামপুর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। সম্প্রতি ওই এলাকায় বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যার সমর্থনে সভা করেন। সেই জনসভায় উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। অথচ সেই দিনই তুফানগঞ্জ ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির ৯ সদস্য ফের তৃণমূলে যোগদান করে। লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার সহ গোটা উত্তরবঙ্গে ভরা ডুবি হয় তৃণমূলের। এরপরে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে গুলিতেও ক্ষ্মতার পরিবর্তন হয়। পরে অবশ্য দলছুটদের বড় অংশ ফিরে যাওয়ায় এবার তৃণমূলের দখলে এসে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামীণ রাজনৈতিক ক্ষমতা কার দখলে থাকবে এনিয়ে কোচবিহার জেলা তুফানগঞ্জে তৃণমূল ও বিজেপির গোলমাল লেগে রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
বিজেপির স্থানীয় নেতা বিজন বিহারি বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই এলাকায় মোটরবাইক নিয়ে মিছিল করে। তখনই বিজেপির দুটি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। তাঁরা এলাকা জুড়ে বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি বিজন বাবুর দাবী এই দিন পরিকল্পিত ভাবে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় আহত হয় এক বিজেপি কর্মী। বর্তমানে তিনি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক কোর কমিটির সদস্য স্বপন সাহা। তিনি বলেন, ‘এদিন রামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা ঢুকতে গেলে বিজেপি কর্মীরা তাঁদের বাধা দেয়।সেই সময়ে সেখানে সামান্য উত্তেজনা তৈরি হলেও তৃণমূলের তরফে বিজেপির কোনো কার্যালয়ে ভাঙচুর বা বোমাবাজির ঘটনা ঘটেনি।’ পঞ্চায়েত সদস্যদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগকে অস্বীকার করেছে বিজেপি। এই বিষয়ে তুফানগঞ্জের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জ্যাম ইয়ং জিম্বা বলেন, পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলাকায় কোন রকম অশান্তি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।