এই মুহূর্তে জেলা

বেআইনি ভাবে চলা এক বেসরকারী স্কুলের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।

হুগলি,৫ ফেব্রুয়ারি:- নিমন্ত্রণ বাড়ীতে এসে একটি বেসরকারি স্কুলের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন চূঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। ঘটনা হুগলীর তালডাঙা এলাকায়। চূঁচুড়ার তালডাঙা এলাকায় ওই বেসরকারি স্কুলের নির্মাণ কাজ বেআইনি ভাবে চলছিল বলে অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। এর আগেও পুরসভার পক্ষ থেকে গাছ কাটার অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয় স্কুলটি কে। যদিও সেই নির্দেশ কে অমান্য করে নির্মাণ কাজ চলছিল বলে বিধায়কের কাছে অভিযোগ ছিল। আজ সেখানে আচমকা হানা দেন বিধায়ক। পাশাপাশি চূঁচুড়া থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ ও করেন তিনি। পড়ে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করেছে চূঁচুড়া থানার পুলিশ। উল্লেখ্য স্কুলের জমিটি চূঁচুড়া মগরা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ দাসের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে চরিত্র অনুযায়ী ওই সম্পত্তি দেবোত্তর অর্থাৎ শ্রী শ্রী ঈশ্বর গোপাল জিউ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গণেশ রাধা জিউ রাধা কৃষ্ণ জিউ ঠাকুরের নামে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত রয়েছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                        এই জমি গত ১৭/৪/২০১৭ তারিখ কলকাতার একই ঠিয়ানার ৭৪ টির বেশি সংখ্যক কোম্পানিকে বিক্রি করেছেন দিলীপ দাস এবং তার স্ত্রী কৃষ্ণ দাস। ক্রেতা কোম্পানি গুলির ঠিকানা ৬ চার্চ লেন, পোস্ট কলকাতা, জিপিও, থানা হেয়ারস্ট্রিট থানা, কলকাতা ৭০০০০১। অবাক হওয়ার বিষয় এতগুলি কোম্পানি অথচ ঠিকানা একটাই। জমির পরিমান আনুমানিক ২০ বিঘের কাছাকাছি। এই সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত চারটি পুকুর এবং চারটি আমবাগান নথিভুক্ত রয়েছে সরকারি খাতায়। সম্পত্তির অধিকাংশই বাগান রেকর্ড রয়েছে। রেকর্ডে বস্তু জমি নেই। অভিযোগ তাই কৌশল করে একাধিক কোম্পানির নামে তা ক্রয় করা হয়েছিল। কৌশলে মালিকানা পরিবর্তন করে ফেলেন দিলীপ বাবু। কিন্তু এখনও সরকারি রেকর্ডে ক্রেতার নাম নেই। তা এখনও দেবোত্তর সম্পত্তি রেকর্ড দেখা যাচ্ছে। অভিযোগ গত কয়েক বছরে এভাবেই বেআইনি জমি কারবার করে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল দিলীপ দাস। টাকার জোরে সব কিছুকেই হাতের মুঠোয় করে ফেলেছিল। চুঁচুড়া মগড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদের দখল নিয়েছিল। বছর খানেক আগে তার বাড়িতে আয়কর বিভাগের ছাপা পরে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চলে দিলীপ বাবুর বাড়িতে। হিসেব বহিভূত বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা সহ নামে বেনামে বহু সম্পত্তির হদিস পায় আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                        তল্লাশি তে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ধান মিলেছিল দিলীপ বাবুর বাড়ি থেকে। বিধায়কের অভিযোগ এই নির্মাণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বাগান জমি কনভার্সন না করেই বেআইনিভাবে কয়েকশ আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কোনও প্ল্যান নেই, পুরসভার কোনও অনুমতি ছাড়াই জোড়কদমে নির্মাণ কাজ চলছিল। দিলীপ বাবু প্রসঙ্গে বিধায়ক অসিত মজুমদারের মন্তব্য কারোর কুকর্মের দায় দল নেবে না। আর দলের কর্মীদের দুর্নীতি কখনোই বরদাস্ত করা হবে না। এই প্রসঙ্গে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখার্জি বলেন, সাইট প্ল্যান এর জন্য সয়েল টেস্ট এর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজের কোনও রকম অনুমতি দেওয়া হয়নি। বেআইনিভাবে এই নির্মাণকাজ চালাচ্ছিল বেসরকারি ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই চুঁচুড়া থানাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্কুল কর্তিপক্ষকেও নোটিশ দিয়েছে পুরসভা।

There is no slider selected or the slider was deleted.