হুগলি,২২ জানুয়ারি:- নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরন করে খুন এবং খুনের পর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং দুটি পা কেটে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে আজ দোষী সাব্যস্ত করলো চুঁচুড়া আদালত। ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত স্মরূপ মজুমদার প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তার জুভেনাইল কোর্টে বিচার চলছে। দোষী সাব্যস্ত দুই আসামীর নাম গৌরব মন্ডল ও কৌশিক মালিক। গত ২০১৪ সালের ১২ই ডিসেম্বর বলাগড় জিরাটের উত্তর গোপালনগরের দম্পতি ফুলচাষী চিন্ময় মন্ডল ও গৃহবধু প্রনতি মন্ডলের ১১বছরের মেয়ে অন্বেষা মন্ডল নিখোঁজ হয়। গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সাইকেল নিয়ে অন্বেষা আর ঘরে ফেরেনি। বহু খোঁজাখুঁজির এদিন রাতেই মেয়ে নিখোঁজের খবর থানায় জানান বাবা চিন্ময় মন্ডল।
পরে দিন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু পরের দিন জিরাটে গঙ্গার পারে অন্বেষার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বলাগড় থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে অন্বেষাদের পাশের গ্রাম হাটতলার দুই যুবক গৌরব মন্ডল ও কৌশিক মালিক এবং এক কিশোর স্বরূপ মজুমদার তিনজনে মিলে সেই রাতে অন্বেষাকে অপহরন করে যৌন নির্যাতন করে। সে বাঁধা দেওয়ায় তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর অন্বেষার মোবাইল মারফত পরিজনদের কাছে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়। তারপর অন্বেষার মৃতদেহ গঙ্গার পারে নিয়ে যায়। সেখানে মৃতদেহের সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করার পর তার দুটি পা কোদাল দিয়ে কেটে মাটিতে পুঁতে দেয়। তিনজনকেই বলাগর থানা গ্রেপ্তার করে। ঘটনার সময় স্মরূপের বয়স কম থাকায় জুভেনাইল কোর্টে তার মামলা শুরু হয়। আজ চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা(২য় কোর্ট) মানস রঞ্জন সান্যাল গৌরব মন্ডল ও কৌশিক মালিককে দোষী সাব্যস্ত করলেন। আগামী ২৭ তারিখ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষনা হবে। ঘটনায় সরকার পক্ষের আইনজীবি সুব্রত গুছাইত বলেন মোট ৩৩জন স্বাক্ষী ছিলো এই মামলায়। দোষীদের ফাঁসির দাবী জানান অন্বেষার বাবা চিন্ময় মন্ডল।