হুগলি,১৯ জানুয়ারি:- একই ঘড় থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলো দু’জন। ধৃতেরা দু’জন সম্পর্কে মা ও মেয়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে আজ চুঁচুড়ার বিশেষ আদালতে তোলা হয়। প্রসঙ্গতঃ শনিবার সন্ধ্যায় চুঁচুড়া থানার কেওটা হেমন্ত বসু কলোনীতে নিজের ঘড় থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় বর্নালী দাসের। একই ঘড়ের বিছানায় শায়িত অবস্থায় পাওয়া যায় বর্ণালীর সাত মাসের শিশুকন্যা সায়নীর মৃতদেহ।
ঘটনার খবর জানাজানি হতেই হতচকিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। মেয়েকে মেরে মা নিজেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রথম দিকে অনুমান করা হয়। বর্নালীর স্বামী সমর দাস কোলকাতার বড়বাজারে একটি কাপড়ের দোকানের কর্মী। শনিবার সকালে তিনি কাজে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে এদিন তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। রাতে বর্ণালীর বাবা বাসুদেব বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে সমরের মামি সুমতি দাস ও মামির মেয়ে অনিতা দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন বাসুদেব বাবু। আজ ধৃত দু’জনকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৬ ও ৩৪নম্বর ধারায় ৫দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। যদিও এদিন থানা থেকে বেড়িয়ে আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত অনিতা দাস তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিন থানায় দাঁড়িয়ে বর্ণালীর মামা সুরজিৎ অধিকারী বলেন বর্ণালীকে তাঁর মামি শাশুড়ি মানসিক ভাবে অত্যাচার করতো। একথা আগে বাড়িতে এসে জানিয়েছিলো বর্ণালী। কিন্তু আমরা তখন সেভাবে গুরুত্ব দিইনি। পাশাপাশি তিনি বলেন ঘটনার পর সমরের মামির বয়ানেও আমাদের সন্দেহ হয়। কেনো এধরনের ঘটনা ঘটলো আমরা এটাই জানতে চাই। এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।