হাওড়া,১৯ জানুয়ারি:- দু’দিনের কলকাতা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ১১ জানুয়ারি বেলুড় মঠে রাত্রিযাপন করেছিলেন এবং পরদিন ১২ জানুয়ারি সকালে বেলুড় মঠে জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে এনআরসি এবং সিএএ-র সমর্থনে রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। বেলুড় মঠের মতো অরাজনৈতিক একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের রাজনৈতিক বক্তৃতা নিয়ে বিরোধীরা সরব হন। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে বেলুড় মঠের যুব দিবসের মঞ্চে তার স্বপক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন।
এর প্রতিবাদ জানাতে রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী যে পথে বেলুড় মঠে এসেছিলেন ঠিক তার উল্টো রুটে গঙ্গায় সাঁতার কেটে এনআরসি এবং সিএএ-র প্রতিবাদে সরব হলেন জাতীয় সাঁতারু মুকেশ গুপ্তা। রবিবার সকাল থেকে মুকেশ রামকৃষ্ণপুর ঘাট পর্যন্ত সাঁতার কেটে পাড়ি দেয়। মোদি যেভাবে বেলুড় মঠে এসে এনআরসি এবং সিএএ-র পক্ষে প্রচার করেছিলেন এই জাতীয় স্তরের সাঁতারু এদিন এনআরসি এবং সিএএ-র বিপক্ষে প্রচার করতে বেলুড় জেটি থেকে রামকৃষ্ণপুর ঘাট পর্যন্ত এদের সাঁতরে পার হয়। তার এই যাত্রার শুভ সূচনা করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর ভাস্কর ভট্টাচার্য্য, কৈলাশ মিশ্র সহ আরও অনেকে। এরপর রামকৃষ্ণপুর ঘাটে ওই সাঁতারুকে সংবর্ধনা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী যে পথে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে বেলুড় মঠে এসেছিলেন তার ঠিক উল্টো পথে বেলুড় মঠ থেকে মিলেনিয়াম পার্ক এর ঠিক বিপরীতে রামকৃষ্ণপুর ঘাট পর্যন্ত এনআরসি এবং সিএএ-র বিপক্ষে এদিন প্রচার চালানো হয়। সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “এটা এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। মুকেশ গুপ্তা একজন জাতীয় স্তরের সাঁতারু। মুকেশ একদিন আমার কাছে এসে প্রস্তাব দিয়েছিল যে সে এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে সাঁতারের মাধ্যমে আন্দোলন করতে চায়। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিলেনিয়াম পার্ক থেকে বিলাসবহুল জলযানে করে বেলুড় মঠে এসেছিলেন, এবং এখানে এসে বেলুড়ের পবিত্র মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি রাজনীতি করে গেছেন সেই কারণে আমরা এই জায়গাকে বেছে নিলাম। বেলুড় ঘাট থেকে যেখানে মোদী নেমেছিলেন ঠিক উল্টো করে আমরা মিলেনিয়াম পার্কের উল্টোদিকের রামকৃষ্ণপুর ঘাট পর্যন্ত বেছে নিলাম। যেখানে স্বামীজি শিকাগো ধর্মসভা থেকে ফিরে যেখানে এসেছিলেন এবং নৌকো করে নেমেছিলেন সেই জায়গা পর্যন্ত আমরা বেছে নিয়েছি। সাঁতার কেটে যাচ্ছে মুকেশ গুপ্তা বেলুড় থেকে রামকৃষ্ণপুর ঘাটের দিকে। আমরা সেখানে গিয়ে তাকে সম্বর্ধনা দেব।”