হুগলি,১৮ জানুয়ারি:- অবশেষে গ্রেপ্তার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা দেবরাজ পাল(দেবু)। দেবরাজ বাঁশবেড়িয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি ছিলেন। গতবছরও এসময় তিনি দলের গুরুত্বপূর্ন সদস্য হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সেসময় সপ্তগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক তথা মন্ত্রী ও জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের ঘনিষ্ট ছিলেন দেবরাজ। কিন্তু বিগত লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই ঘড়ছাড়া দেবরাজ পাল। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভরাডুবির পিছনে দেবরাজ পালদের মতো পুলিশের খাতায় নাম থাকা মানুষদের সামনে আনাই দায় বলে অনেকেই দাবী করেন। ক্রমেই বাঁশবেড়িয়ার এই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত হতে থাকে। লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তপন দাশগুপ্তকেও।
শোনা যায় বিজেপির দিকে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন দেবরাজ পাল। শুধু এই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিজেপির একাংশের নেতা-কর্মী একজোট হয়ে চড়াও হয় দেবরাজ পালের বাড়িতে। বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তার বিশাল গাড়ি রাখার গ্যারেজ ঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। আদালতের রায়ে মগরার কালীতলায় দেবরাজের বাগান বাড়ির দখল নেয় তৃণমূল পরিচালিত বাঁশবেড়িয়া পুরসভা। ক্রমশই কোনঠাসা হতে থাকে দেবরাজ গোষ্ঠী। যদিও এতকিছুর মধ্যেও দেবরাজের কিন্তু দেখা পাওয়া যায়নি। অবশেষে নতুন বছরে নিজের এলাকা সেই কালিতলা থেকে মগরা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করলো দেবরাজ পালকে। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী দেবরাজের কাছ থেকে একটি পাইপগান ও চারটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। বেআইনি অস্ত্র রাখা, জোর করে জমি দখল সহ বেশকয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ হেফাজতে চেয়ে দেবরাজকে আজ চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। এবিষয়ে তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন কেউ যদি ভাবে আমি অন্যায় করে তৃণমূলে থাকবো আর অন্যায় মাফ হয়ে যাবে, সেটা হবে না। যদিও এবিষয়ে বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন দেবরাজ বরাবরই তৃণমূল করতো। দেবরাজকে গ্রেপ্তার করা তৃণমূলের লোকদেখানো নাটক।