অতিথি নিবাসে রাত্রিযাপন করে সকালে স্বামীজির কক্ষে ধ্যান করেন মোদী।

 

হাওড়া,১২ জানুয়ারি:- অতিথি নিবাসে রাত্রিযাপন করে রবিবার সকালে স্বামীজির কক্ষে ধ্যানও করেন মোদী। বেলুড় মঠ সূত্রে জানা গেছে, বিবেকানন্দের জন্মদিনে রবিবার সকালে বেলুড় মঠে স্বামীজির কক্ষে বেশ কিছুক্ষণ ধ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর তিনি যান মঠের মূল মন্দিরে। সেখানে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করার পর বেলুড় মঠের মহারাজ, সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীদের সঙ্গে ফটোশেসনে মিলিত হন তিনি। এর আগে শনিবার রাতেই বেলুড় মঠে এসে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে তাঁর আর্শীবাদ নেন মোদি। বেলুড় মঠের তরফে প্রেসিডেণ্ট মহারাজ প্রসাদী মালা, শাল ও রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সাহিত্যের বেশকিছু বই তাঁর হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন। রাতে বেলুড় মঠের আন্তর্জাতিক অতিথি নিবাসে ছিলেন মোদি। বেলুড় মঠের প্রসাদী ফল, মিষ্টান্ন, ভোগ খান তিনি।

                                                                                                                                                                                                                                                              মোদীর বেলুড় মঠ সফর প্রসঙ্গে এদিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ জানান, এই প্রথম দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী বেলুড় মঠে এসে রাত্রিবাস করঢ়েন। তিনি এখানে নিজে থেকেই রাতে থাকতে চাওয়ায় আমরা গর্বিত। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি এখানে রাতে খুব ভালোভাবে ঘুমিয়েছেন। বলেও জানান। এর পাশাপাশি বেলুড় মঠে এসে ভাষণে মোদি নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বক্তব্য পেশ করা প্রসঙ্গে সুবীরানন্দ মহারাজ বলেন বেলুড় মঠ একটি অরাজনৈতিক সংস্থা। তাই ওই ব্যাপারে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সম্মানীয় অতিথি। অতিথির বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করাটা ভারতীয় সংস্কৃতি নয়। তাই আমরা আমাদের অতিথির বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।