অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়,১০ ডিসেম্বর:- পরিচিত ছন্দে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। বিভিন্ন প্রতিকূলতা অতিক্রম করে চলতি আই লিগে প্রথম জয়টি তুলে নিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। মঙ্গলবার ইম্ফলের খুয়ান লম্পক স্টেডিয়ামে নেরোকা এফসি’কে ৪-১ গোলে হারাল মশালধারীরা। পরপর দুই ম্যাচ ড্র করার ফলে এই ম্যাচে যে কোনও মূল্যে তিন পয়েন্ট লক্ষ্য ছিল ইস্টবেঙ্গলের। একে তো অ্যাওয়ে ম্যাচ তার উপর পাহাড়ে উচ্চতা এবং পাল্লা দিয়ে ঠান্ডা, সমতলের যে কোনও দলের কাছে এই পরিস্থিতিতে দুরন্ত ফুটবল খেলা চ্যালেঞ্জের। অতীতেও দেখা গিয়েছে পাহাড়ের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারায় হোঁচট খেয়েছে কলকাতার দুই প্রধান। তবে, লক্ষ্যে অবিচল ইস্টবেঙ্গলের সামনে কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারল না। স্প্যানিশ ত্রয়ীর অসাধারণ ফুটবলের
সৌজন্যে নেরোকা’কে এদিন গোলের মালা পরাল আলেজান্দ্রো মেনেন্দেজের দল।
শুরু থেকে আক্রমণ ফুটবল খেলা ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের প্রথম গোলটি তুলে নেয় ২০
মিনিটে। নেরোকার রোনাল্ড সিং বক্সের মধ্যে জুয়ান মেরা’কে ফাউল করলে পেনাল্টি
পায় ইস্টবেঙ্গল। স্পটকিক থেকে গোল তুলতে ভুল করেননি হাইমে কোলাডো। যদিও
ডিফেন্সের ভুলে এই ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ৩১ মিনিটে
হোরামের ঠিকানা লেখা ক্রস মাথা ছুইয়ে গোল করে নেরোকাকে সমতায় ফেরান
বউবকর। প্রিয় দল এগিয়ে গিয়েও গোল হজম করায় স্টেডিয়ামে উপস্থিত মুষ্টিমেয়
ইস্টবেঙ্গল সমর্থক যখন হতাশ তখনই বিশ্বমানের গোলে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে
দিলেন স্প্যানিশ মিডিও জুয়ান মেরা। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি-কিক বা
পায়ের নিখুঁত শটে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে
ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। এক্ষেত্রেও স্পটকিক নিতে
যান হাইমে কোলাডো। ঠিক যেন প্রথম গোলের অ্যাকশান রিপ্লে। ত্রিনাদাদ অ্যান্ডো
টোবাগোর ৩৫ বছর বয়সী গোলরক্ষককে উল্টদিকে ফেলে প্লেসিং-এ গোল করে যান
২৪ বছর বয়সী এই তারকা। নেরোকার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন মার্কোস
গিমিনেজ। পিন্টু মাহাতোর ক্রস থেকে ড্রপ হেডে বল জালে জড়ান এই স্প্যানিশ। গত
দুই ম্যাচে খুব একটা নজর কাড়তে না পারলেও এ দিন মার্কোসের খেলা ছিল
দৃষ্টিনবাড়ানো, সবই এল তাঁর পা থেকে। গোলের ব্যবধান আরও বাড়াতে পারল ইস্টবেঙ্গল। মার্কোসের বুদ্ধিদীপ্ত পাস থেকে নিশ্চিত একটি গোল মিস করেন ম্যাচের সেরা কোলাডো। অফ সাইডের ফাঁদে পড়ে যাওয়ার ভয়ে একটি গোলের সুযোগ মিস করেন মার্কোস। সুযোগ নষ্ট করেন কাশিম আয়দারাও। এই ম্যাচে জয়ের ফলে লিগ টেবলের তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের তৃতীয়স্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।ন্দন। অনেক বেশি জায়গা নিয়ে খেলা এবং মাঝমাঠ থেকে একাধিক দুর্দান্ত পাসবাড়ানো, সবই এল তাঁর পা থেকে। গোলের ব্যবধান আরও বাড়াতে পারল ইস্টবেঙ্গল।
মার্কোসের বুদ্ধিদীপ্ত পাস থেকে নিশ্চিত একটি গোল মিস করেন ম্যাচের সেরা
কোলাডো। অফ সাইডের ফাঁদে পড়ে যাওয়ার ভয়ে একটি গোলের সুযোগ মিস করেন
মার্কোস। সুযোগ নষ্ট করেন কাশিম আয়দারাও। এই ম্যাচে জয়ের ফলে লিগ টেবলের
তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের তৃতীয়স্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।







