অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়,৭ ডিসেম্বর:- আইজলের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করে এবারের আই লিগ অভিযান শুরু করার পর রবিবার, ঘরের মাঠে চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে মোহনবাগান। বিপক্ষ চার্চিল, তাই লিগের প্রথম হোম ম্যাচ নিয়ে বেশ সতর্ক কিবু বাহিনী। কিছুটা চাপেও আছেন কোচ। দলের সঙ্গে নংডম্বা নাওরেম অনুশীলন করেছেন। তবে তাঁকে চার্চিলের বিরুদ্ধে খেলানো হবে কিনা তা স্পষ্ট করে জানালেন না বাগান কোচ কিবু ভিকুনা। পাশাপাশি আইজলের বিরুদ্ধে সালভা চামরোকে পরিবর্ত হিসাবে নামানো হয়। কিন্তু চার্চিল তুলনামূলক শক্তিশালী ও ওদের দীর্ঘকায় ডিফেন্ডার আছে। তাই লিগে প্রথম জয়ের জন্য সুহের ও চামরোর সঙ্গে তৃতীয় স্ট্রাইকার হিসাবে শুভ ঘোষকেও নামানো হতে পারে।
এই মরশুমে ডুরান্ড কাপ ও কলকাতা লিগে শ্যামনগরের এই তরুণ স্ট্রাইকার দারুন খেলেন। বিএসএসের বিরুদ্ধে তাঁর গোলেই জেতে মোহনবাগান। সাংবাদিক সম্মেলনেও শুভ ঘোষকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে কিবু জানালেন, “শুভ দারুণ স্ট্রাইকার। ওরমধ্যে গোল করার যে খিদেটা আছে, তা উপলব্ধি করতে পারি। তবে কাল কী হবে, ওকে নামাবো কিনা এখন বলতে পারছি না।” শুভকে সার্টিফিকেট দিলেও সুহের ও সালভা চামরোকে নিয়ে কিবুর কিন্তু চাপ থাকছেই। এই দুজনেরই ধারাবাহিকতার অভাব আছে, গোল মিসও করেন। তাই চাপটা কার্যত স্বীকার করে নিয়েই কিবু জানালেন, “চাপ তো থাকবেই। মোহনবাগানের কোচিং করানোই চাপের। এটা নতুন কিছু নয়। তাই চাপ কাটার মত পারফরম্যান্স করতে হবে।” অন্যদিকে চার্চিলে যেমন প্লাজা, দাউডা সিসের মত স্ট্রাইকার আছেন, তেমন ওদের ডিফেন্ডাররাও বেশ ভাল। প্লাজাদের আটকাতে ফ্রান মোরান্তে, গুরজিন্দর, জোসেবাদের ভাল পরীক্ষাই দিতে হবে। বিপক্ষকে নিয়ে কিবুও বলছিলেন, “অন্যতম সেরা স্ত্রাইকিং লাইন, দল হিসাবেও দুরন্ত। তবে আমরা তিন পয়েন্টের জন্যই ঝাঁপাব।” কল্যাণী মাঠে গিয়ে খেলা সমস্যার হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো। কিবু কিন্তু তেমনটা মোটেও না বলে জানালেন, “এটা একটা আউটিং’র মত। তবে আমি মজা করে কথাটা বললেও ম্যাচটা জিততেই চাইব। কলকাতা লিগে যা দেখেছিলাম, শুনলাম কল্যাণীর মাঠটা আরও ভাল হয়েছে।” চার্চিলে প্লাজা তো আছেনই। সঙ্গে খালিফল হাসান, আবু বাকার, রবার্ট প্রাইমাস, দাউডা সিসের মত ফুটবাররা আছেন। ওদের আর্জেন্টাইন কোচ বার্নাডো তাবারেজ আই লিগ শুরুর মাত্র চারদিন আগে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও পাঞ্জাব এফসিকে ৩ গোলে হারায় চার্চিল। অ্যাওয়ে ম্যাচে সাধারণত কোচরা ১ পয়েন্ট পাওয়ার কথা বলেন। বার্নাডো কিন্তু মোহনবাগানকে সমীহ করলেও পুরো পয়েন্ট পাওয়ার কথাই বলছেন।