এই মুহূর্তে জেলা

পানিঘাটায় ৫ বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক।


 

দার্জিলিং,৪ ডিসেম্বর:- মিরিক ব্লকের পানিঘাটার লোহাগড় ট্রি ইস্টটেট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ওই স্কুলেরই শিক্ষক। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে গত সপ্তাহের শুক্রবার যখন ওই স্কুলছাত্রী গোট ঘটনার কথা তার মাকে খুলে বলেন। এরপর ওই ছাত্রীর মা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তেসরিং দোরজে ল্যাপচাকে বলেন। এই কথা শুনে প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষক চন্দ্রমান খাওয়াসকে জিজ্ঞাসা করেন তখন তিনি এই ঘটনা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে আমি ম্যাডিকেল করাতেও রাজি হন। এরপর ওই শিক্ষক স্কুল থেকে বাড়ি চলে যান। অপরদিকে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার লোকজন পানিঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পানিঘাটা থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। এবং গোপন সূত্রের খবর পেয়ে গত সোমবার কদমামোড় থেকে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                                           এরপর মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষকে মিরিক কোর্টে তোলেন। এবং বিচারক ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই বিষয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার লোকজন বলেন যে অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠিন থেকে কঠিন শাস্তির দাবি জানান। এরপর আরও বলেন যে এই ঘটনা যাতে অন্য ছাত্রীর সাথে না ঘটে সেই দিকে প্রশাসনের নজর দিতে হবে। অপরদিকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক  তেসরিং দোরজে ল্যাপচা বলেন যে এই কোন ভাবেই কাম্য নয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। আমি ২২ বছর ধরে কাজ করছি। কিন্তু এই রকম ঘটনা কোন দিনও ঘটেনি। আমরা এই বিষয় নিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। এবং কঠিন থেকে কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। পানিঘাটা ফাড়ির পুলিশ জানিয়েছে যে আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করেছে। এবং অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল। এরপর গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে কদমামোড় থেকে গ্রেফতার করি। এরপর গতকাল মিরিক মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                          জানা গিয়েছে যে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ২০১৩তে যুক্ত হয়েছিল ওই স্কুলে। এবং তিনি বিবাহিত তার দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে যে ওই স্কুলে মোট ৯৯ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেনি রয়েছে। ওই স্কুলে মোট ১০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। তার মধ্যে ৭ জন স্থায়ী ও ৩ জন ভলেন্টিয়ার শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। স্থানীয়রা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.