এই মুহূর্তে জেলা

আমফান ঘূর্ণিঝড় থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘প্রি পজিশনিং প্লানিং’কর্মসূচি নিল জেলা প্রশাসন।

হুগলি , ১৭ জুন:- আমফান ঘূর্ণিঝড় থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘প্রি পজিশনিং প্লানিং’কর্মসূচি নিল জেলা প্রশাসন। হুগলি জেলা প্রশাসনের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে,বর্ষার মরসুম শুরু হয়েছে।সেই কারণে জেলার দামোদর,মুন্ডেশ্বরী,ঘিয়া নদীর গুলির অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কোথাও কোন রকম সংস্কারের প্রয়োজন হলে আগে ভাগেই প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী নদীর সব থেকে কাছের ব্লকে রাখা হবে।উম্পুনের সময় অনেক ক্ষেত্রে ত্রাণ সামগ্রী কলকাতা ও জেলার গুদাম ঘরে ছিল।ঘূর্ণিঝড়ে রাস্তা ঘাটে গাছ ভেঙে পড়ায় ও রাস্তা ধসে যাওয়ার কারণে পরিবহনে সমস্যা হয়।সেক্ষেত্রে কলকাতা ও জেলার গুদাম ঘর থেকে ত্রাণ সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছাতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে প্রশাসন কে।তাই বর্ষার আগেই আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ দিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও,অতিরিক্ত জেলাসাসক(জেলা পরিষদ)প্রলয় মজুমদার ও প্রশাসনের অন্যন্য কর্তা ব্যক্তিরা। নদী ও নদী বাধের সংস্কারের জন্য পাথর,সিমেন্ট,লোহার মতো ইমারতী দ্রব্য আগে ভাগেই এনে মজুদ করা হবে।সেই সঙ্গে দক্ষ শ্রমিকদের রাখা হবে।যাতে বিপর্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়।নদী বাধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সুরক্ষিত স্থানে রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের নিরাপদে রেখে যাতে দরকারি ত্রাণ সামগ্রী পৌছানো যায় সেটাও‘প্রি পজিশনিং প্লানিং’ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।এ দিন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘দুর্যোগ ও বিপর্যয় মোকাবিলায়  ‘প্রি পজিশনিং প্লানিং কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছি।এরফলে অনেক কম সময়ে যে কোন সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ হবে।রাজ্যের নির্দেশেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে’।