সুদীপ দাস, ৮ জুন:- সরকারি-বেসরকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজ থেকে কার্যত লকডাউন উঠে গেলো রাজ্য সরকারের নির্দেশে। আজ থেকেই সমস্ত সরকারী অফিসগুলিতে সপ্তাহের ৬ দিনে আনুপাতিক হারে ৭০ শতাংশ কর্মচারিদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। সেইমত সপ্তাহের প্রথম দিন হুগলি জেলা পরিষদে গিয়ে দেখা গেলো চলছে দপ্তরের কাজ। নিজ-নিজ চেয়ারে উপস্থিত কর্মচারীরা। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখার্জী বলেন আজ ১ম দিনেই জেলা পরিষদে ১০০ শতাংশ কর্মচারী উপস্থিত হয়েছেন। এদের মধ্যে যারা ভিন জেলা থেকে কাজে আসেন তাঁদের বাড়িতে জেলা পরিষদ থেকে গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিরাও নিজ-নিজভাবে কাজে এসেছেন। জেলা পরিষদ কর্মী চন্ডিচরন দাস বলেন বাইরে বাস-অটোতে ভিড় হচ্ছে।
তাই জেলার মধ্যে যারা থাকেন তাঁরা নিজেদের বাইক সাইকেলকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। এদিকে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখার্জী বলেন ভিন জেলার কর্মীদের নিয়ে আসার পাশাপাশি জেলা পরিষদের বিভিন্ন গেষ্ট হাউসে থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আমরা সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করে মানুষের পরিষেবা দেওয়ার ব্যাবস্থা করেছি। যদিও অনেকটাই উল্টো চিত্র হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভায়। এখানে কর্মচারীদের উপস্থিতির সংখ্যা যেমন কম, তেমনই পৌরসভায় ঢোকার মুখে থার্মাল স্ক্রিনিং কিংবা হাত স্যানিটাইজ করারও ব্যাবস্থা চোখে পড়লো না। ঘটনার কথা স্বীকার করে পৌরপ্রধান গৌরিকান্ত মুখার্জী বলেন এখন সকলের পকেটেই স্যানিটাইজার রয়েছে , তবে তাও আমরা দেখছি যাতে ঢোকার মুখে থার্মাল স্ক্রিনিং ও হাত স্যানিটাইজের ব্যাবস্থা করা যায়।