স্পোর্টস ডেস্ক,২৪ মে:- বিসিসিআই কে না জানিয়ে ক্রিকেট অনুশীলন শুরু করে বিতর্কে জড়ালেন ভারতীয় পেসার শার্দুল ঠাকুর। বিসিসিআই এখনও পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ কোনও ক্রিকেটারকে আউটডোর ট্রেনিংয়ের অনুমতি দেয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও স্টেডিয়ামগুলি খোলার অনুমতি দেওয়ায় আউটডোর ট্রেনিংয়ের সুযোগ তৈরি হয় খেলোয়াড়দের সামনে।মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা করোনা রেড জোনের মধ্যে পড়ে না। ফলে পালঘরের দাহানু তালুকা ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন মাঠে নেট সেশনে নেমে পড়েন টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার শার্দুল ঠাকুর। মুম্বই রঞ্জি দলের সতীর্থ হার্দিক তামোরে-সহ মোট ৬ জন ক্রিকেটার সেখানে ট্রেনিং করেন একসঙ্গে। কিন্তু এতেই ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সামনের কয়েকদিন এখানেই অনুশীলন করার ইচ্ছা রয়েছে শার্দুল ঠাকুরের। যদিও ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে তাঁর মাঠে নেমে পড়া নিয়ে। কারণ, বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই প্র্যাকটিসে নামেন তিনি। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছে যে একবার তো জিজ্ঞেস করতে পারত শার্দূল। টিম ইন্ডিয়া ও সিএসকের বোলার আদৌ বুদ্ধিমানের কাজ করেননি বলেই মনে করেন বিসিসিআই কর্তা। প্রসঙ্গত শার্দূল বিসিসিআইয়ের গ্রুপ সি গ্রেডের কন্ট্র্যাক্টে আছেন।
যদিও অনুশীলনে আগাগোড়া সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলতে দেখা যায় শার্দুলদের। একইসঙ্গে সরকার ও আইসিসির নির্দেশিকাও মেনে চলেন তাঁরা। মাঠের সময়টুকু ছাড়া সারাক্ষণ মাস্ক পরেছিলেন ক্রিকেটাররা। অনুশীলনে প্রত্যেকে নিজেদের আলাদা বল ব্যবহার করেন। প্র্যাকটিসের সময় শার্দুল একবারের জন্যেও লালা বা ঘাম ব্যবহার করে বল পালিশ করেননি।লালা নিষিদ্ধ হলেও ঘাম ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। তা সত্ত্বেও সে পথে হাঁটেননি শার্দুল। দীর্ঘ দু’মাস পর অনুশীলনের ফেরা প্রসঙ্গে শার্দুল বলেন, ‘গত ১৩ মার্চের পর এই প্রথমবার বল করলাম। স্পাইক পরে দৌড়তেই অসুবিধায় পড়ছিলাম। সম্ভবত এই প্রথমবার আমি বল পালিশ করিনি খেলার সময়।