ঋসভ,২৪ মে:- দুর্যোগ নিয়ে পূর্ব ভাবনা,বিপর্যয়ের ক্ষতি আচঁ করে পৌরসভার প্রস্তুতি, বিপর্যয় শেষে সময় নষ্ট না করে রাস্তায় নামা, এই তিন মন্ত্রেই আমফান পরবর্তী সময়ে সফল কামারহাটি পৌরসভা।গত বুধবার আমফান ঝরে ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোটা বাংলা।ঝড় পরবর্তী সময়ে প্রায় ৫ দিন কেটে গেলেও এখনো অন্ধকারে তিলোত্তমা কলকাতা।পার্শ্ববর্তী পুরসভা অঞ্চলে ক্রমাগত জল,বিদ্যুৎ না থাকায় বিক্ষোভ চরমে উঠছে,এই বিক্ষোভ সামাল দিতে নাভিশ্বাস উঠছে প্রশাসনের।সেখানে কামারহাটি পৌরসভা অঞ্চলের প্রায় ৯৫ শতাংশ বাড়িতেই বিদ্যুৎ এসে গিয়েছে।যে অঞ্চলে বড় গাছ পরে গিয়েছিল রাস্তা পরিষ্কারের কাজ প্রায় শেষ।এই সাফল্যের রহস্য কি? খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল কেবলমাত্র পূর্ব পরিকল্পনা থাকাতেই বেগ পেতে হলো না এলাকা পরিষ্কার করতে।বিভিন্ন জোনে ভাগ করে এলাকা পরিষ্কারের দায়িত্ব নিজেরাই নিয়েছিলেন প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যরা।কামারহাটি পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার তথা প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য বিশ্বজিৎ সাহাকে দেখা যায় জেসিবি নিয়ে একাধিক এলাকায় গিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করতে।সিইএসসির সাথে কথা বলে এলাকার ছেলেদের সাহায্যে সারারাত ব্যাপী কাজ চালিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন তাঁরা।এখনো গোটা এলাকায় ১০০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ না এলেও বিশ্বজিৎ বাবু দাবি করেছেন রবিবার রাতের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।কামারহাটি পৌরসভার প্রশাসক গোপাল সাহার নেতৃত্বে যে টিম এই বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করলেন তাদের কুর্নিশ জানাচ্ছেন কামারহাটির বাসিন্দারা। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস যুব নেতা তারক দত্ত এদিন খবর সোজাসাপ্টাকে জানান “প্রশাসকের সাহায্যেই এই ওয়ার্ডের গাছ কাটা ও বিদ্যুৎ আসার কাজ তাড়াতাড়ি হয়েছে”।১২ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে এদিন দেখা গেল অব পরিষেবা স্বাভাবিক।নাম প্রকাশে অনিচ্চুক এক বিরোধী দলের প্রথম সারির নেতা মেনে নিচ্ছেন পার্শ্ববর্তী পৌরাঞ্চলের তুলনায় কামারহাটির অবস্থা অনেকটাই ভালো এই বিপর্যয়ের পরে। পানিহাটি, খরদহ,ব্যারাকপুর পৌরসভা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনো বিদ্ধস্ত।বিদ্যুৎ নেই মনিরামপুর এলাকায়।সেখানে কামারহাটি পৌরসভায় ইদের আগেই আলো এনে রীতিমত রাজ্যের কাছে মডেল হয়ে গিয়েছে কামারহাটি পৌরসভা।