হুগলি, ১৭ অক্টোবর:- অবৈধ বাজি নিয়ে হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্যের কাছে, ঠিক সেই সময় নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযানে সাফল্য হরিপাল থানার। লাগাতার অভিযানে আটক বহু নিষিদ্ধ বাজি, গ্রেফতার বাজি তৈরী ও বিক্রির সঙ্গে যুক্তরা। হরিপালের সহদেব গ্রাম পঞ্চায়েতের মশাইমোর মালপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় হরিপাল থানার পুলিশ।ওসি হরিপাল অরূপ মন্ডলের নেতৃত্বে একটি দল বৃহস্পতিবার সন্ধায় অভিযান চালায়। নিষিদ্ধ বাজি যার মধ্যে অনেক শব্দ বাজি রয়েছে সেগুলো আটক করে। তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন দীপঙ্কর হাইত বাড়ি নারায়নপুর বাহির খন্ড হরিপাল, গোপাল ওঁরাও বাড়ি জামাই বাটি ব্রাহ্মণপাড়া হরিপাল ও সত্যম হাজরা বাড়ি পলতাগড় সিঙ্গুর। হরিপাল থানায় ডিএসপি হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, দুর্গা পুজোর সময় থেকে পুলিশের অভিযান চলছে। গত ৮ অক্টোবর অভিযানে ৫১৫ কেজি নিষিদ্ধ বাজি আটক করা হয় গ্রেফতার হয় চারজন।
সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখে ২৬৮০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি আটক হয় গ্রেফতার হয় পাঁচজন। চলতি সময়ে এখনো পর্যন্ত ৩৮৪০ কেজি বাজি আটক করা হয়েছে। মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি তৈরীর করা অভিযোগে। চকলেট বোম,গাছ বোম সহ একাধিক রকমের শব্দ বাজি আটক হয়েছে। কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলিতে অবৈধ বাজি তৈরি ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণে কি পদক্ষেপ করেছে রাজ্য প্রশাসন সেই রিপোর্ট টলোক করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কালী পূজার সময় নিষিদ্ধ বাজির রমরমা দেখা যায়। যত্রতত্র শব্দবাজিও বেচাকেনা চলে। আদালত বৈধ সবুজ বাজি বিক্রির কথা বললেও তা মানা হয় না বলে অভিযোগ। হুগলির সিঙ্গুর চন্ডীতলা হরিপাল থানা এলাকায় কালী পূজার সময় নিষিদ্ধ বাজি তৈরি ও বিক্রি বেড়ে যায়।তার বিরুদ্ধেই পুলিশের অভিযান চলে।