হুগলি, ১৪ আগস্ট:- তিন দিন আগে নার্সের কাজে যোগ দিয়েছিলেন দিপালী জানা, গতকাল রাতে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়, পরিবারের অভিযোগ মেয়েকে খুন করা হয়েছে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। বছর ২৪ এর দিপালীর বাড়ি নন্দীগ্রামে। খবর পেয়ে ভোর রাতে নন্দীগ্রাম থেকে সিঙ্গুরে আসে দীপালির পরিবারের লোকজন। শ্রীরামপুর চন্ডীতলা যাবার রাস্তার উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় মৃতার পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, হুগলির সিঙ্গুর বোড়াই তেমাথায় এলাকায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নন্দীগ্রামের দিপালী গত তিন দিন আগে নার্সিং এর কাজে যোগ দেন। গতকাল রাতে নার্সিংহোমের চারতলার একটি ঘরে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গত বছর বাঙ্গালোরে জিএনএম নার্সিং করেন দিপালী,জানায় তার বাবা সুকুমার জানা। তিনদিন আগে এক বান্ধবির মারফত সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে চাকরি করতে এসেছিল। মৃতার বাবা সুকুমার জানার অভিযোগ, গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ নার্সিংহোম থেকে ফোন করে জানায় আপনি তাড়াতাড়ি আসুন আপনার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। রাত সাড়ে তিনটের সময় গাড়ি ঠিক করে সিঙ্গুরে এসে পৌঁছাই। গেট লাগানো ছিল গেট খুলে ভেতরে ঢুকি। দিপালী কোথায় জানতে চাই তখন বলে থানায় নিয়ে চলে গেছে।
আমার মেয়ের মৃতদেহ আমাকে না দেখিয়ে কেন থানায় নিয়ে যাওয়া হলো। আমার মেয়েকে এরা খুন করেছে। আমি উপযুক্ত তদন্ত চাই এবং নার্সিং মালিকের শাস্তি চাই। মেয়ে এখানে নার্সিং করতো। তিন দিন হলো কাজে যোগ দিয়েছে। আমার মেয়ে কোনদিন আত্মহত্যা করতে পারে না। গত পরশুদিন রাত আটটা সাড়ে আটটার সময় আমার মেয়ের সাথে কথা হয়েছে, তখন সে ভালোভাবে কথা বলে। নার্সিংহোমে দিপালীর বান্ধবী মল্লিকা বাউরী বলেন, ওকে কারো সাথে কথা বলতে দেখিনি তবে কি কারনে এই ঘটনা তা বলতে পারব না। আমি যখন উপরে গিয়েছিলাম তখন দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। জানলা খুলে দেখি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। এর পরেই আমি সবাইকে বিষয়টি জানায়। রাতে কাউকে না বলে হঠাৎ করে বাইরে বেরিয়ে যায়, এরপর গোটা নার্সিংহোমে খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু কোথাও দেখতে পাই না। ফোন করলেও ফোন সুইচ অফ বলে। বাড়ি নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল। কালকে বাড়ি চলে যাব বলছিল।তবে নার্সিংহোমে কিছু হয়নি। হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষানু রায় জানান, একটা নার্সিংহোমে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আমরা মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছি। মৃতার পরিবার মৌখিক ভাবে যেটা বলছে সেটা লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারন স্পস্ট হবে।