হুগলি, ২২ জুলাই:- রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্টের(আরটিজিএস) মাধ্যমে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা সরিয়েও শেষ রক্ষা হল না।উত্তরপ্রদেশের বরেলির দুষ্কৃতিকে নয়ডা থেকে গ্রেফতার হুগলি গ্রামীন পুলিশের। ব্যাঙ্ক লেনদেনে নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতি হিসাবে ধরা হয় আরটিজিএস কে। সেই নিরাপদ জায়গায় আঘাত হানছে সাইবার প্রতারকরা। যা নিয়ে চিন্তিত পুলিশও। হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার জানান, গত মাসের ত্রিশ তারিখে সাইবার থানায় একটি অভিযোগ করেন গৌরব দত্ত। পান্ডুয়ার মায়া অটোমোবাইল সংস্থার ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহার করে পান্ডুয়া অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক থেকে আরটিজিএস এর মাধ্যমে ২৬ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা একাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দেওয়া হয়। ডেবিট মেসেজ এলে জানা যায় এই ঘটনা। এরপরই ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করে এনসিআরপি পোর্টালে অভিযোগ জানান। পাশাপাশি হুগলি গ্রামীন পুলিশের সাইবার থানাতেও অভিযোগ জানান গৌরব দত্ত। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে। অটোমোবাইলের ওই থেকে চারটি অ্যাকাউন্টে টাকা সড়ানো হয়েছে। তার মধ্যে একটি একাউন্ট থেকে উত্তর প্রদেশের বরেলি সোনার দোকান থেকে সোনার গহনা কেনা হয়েছে অনলাইনে।
সেই সোনার দোকানে যোগাযোগ করে পুলিশ। সেখান থেকে অপরাধীর ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে। সিসিটিভির ফুটেজ পেয়ে যায় পুলিশ। এরপর অপরাধীর মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে নয়ডার মেট্রো স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পুরো টাকায় উদ্ধার করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, এটা একটা বড় চক্র যারা মানুষকে এইভাবে প্রতারিত করছে। এই দলে আরো অনেকে রয়েছে। তবে তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। মূল অভিযুক্তকে ইফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে এসে হুগলি থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় তারপর তাকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আরটিজিএস এর মাধ্যমে কি করে অপরাধীরা মানুষকে প্রতারণা করছে তা খতিয়ে দেখছে হুগলি গ্রামীন পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা। আরটিজিএস এর মাধ্যমে অনেক বেশি টাকা একসঙ্গে লেনদেন করা যায়। তাই এই পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অনুমান পুলিশের। এ আই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে কিনা সেটাও দেখছে তদন্তকারীরা।