এই মুহূর্তে জেলা

কেন্দ্র দেখলেই হুগলিতে চলবে মেট্রো! আশাবাদী তৃনমূল সাংসদ রচনা।

হুগলি, ২৩ ডিসেম্বর:- শহর কলকাতা থেকে জেলা হওড়ায় পৌঁছে গেছে মেট্রো রেল। এবার গন্তব্য হুগলি! হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আজ হুগলি জেলা শাসক মু্ক্তা আর্যর সঙ্গে এলাকা উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করন রচনা। সেখানেই মেট্রো নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে রচনা বলেন, মেট্রো টা যদি চুঁচুড়া ব্যান্ডেল পর্যন্ত আনতে পারি মানুষের ভীষন উপকার হয়।সেটা নিয়ে চিঠিপত্র চলছে। একটা বড় ব্যাপার।এটা কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। সেটা নিয়ে আওয়াজ তোলা হচ্ছে। সেই বিষয় নিয়েও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হলো। ডিএম বলেছেন তা যদি করা যায় তাহলে বহু মানুষ উপকৃত হবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কে আমি চিঠি দিয়েছিলাম উনি তার রিপ্লাই দিয়েছেন। সেটা সবথেকে বড় কথা। উনি বলেছেন কিভাবে এগোনো যা সেটা দেখছেন। জমিও দ্বি গ্রহণের বিষয় থাকলে এটাও দেখতে হবে কোথায় কিভাবে এগোনো যায়। এটাতো সরাসরি ব্যান্ডেল শুধু নয় মাঝে শ্রীরামপুর আছে হাওড়া আছে। হাওড়ায় রয়েছেন প্রসুন ব্যানার্জি শ্রীরাপুরে রয়েছেন কল্যান ব্যানার্জি সবার সঙ্গে মিলিতভাবে এটা করতে হবে।

আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করব মানুষের জন্য। যেটা কেন্দ্রের হাতে তারা যদি একটু দয়াশীল হন। দয়া দেখান তাহলে আমরা লড়তে পারি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এখনও কথা হয়নি এ বিষয়ে মন্ত্রীরা রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে যদি বিষয়টা মিটে যায় তাহলে আর প্রশ্ন নেই। সংসদে দেখা হয় কিন্তু কথা হয়না। কথা বলতে গেলে পাঁচশ জন সংসদ আছেন। লটারিতে কার নাম উঠবে সেটা কপালের ব্যাপার। আমার যেমন একবার সুযোগ হয়েছিল বলাগড়ের ভাঙ্গন নিয়ে বলেছি। আবার চেষ্টা করছি সুযোগ পেলেই মেট্রো নিয়ে মানুষের অন্যান্য দাবি নিয়ে বলবো। সব থেকে প্লাস পয়েন্ট যেটা সংসদে আওয়াজ তুলতে না পারলেও চিঠির মাধ্যমে বলা যায়। তার উত্তরও পাওয়া যায়। আরেকটা প্রপোজাল জমা দিয়েছি যারা আজমীর শরীফ যায় তাদের জন্য ব্যান্ডেলে একটা যদি ট্রেনের ব্যবস্থা করা যায়। যারা আজমীর শরীফ যান তাদের জন্য ব্যান্ডেল থেকে কোন ট্রেন নেই তাদের বর্ধমান নাইলে কলকাতা থেকে ট্রেন ধরতে হয়।

চেষ্টা করছি যারা আজমীর শরীফ যেতে চান তাদের জন্য ব্যান্ডেল থেকে যদি একটা ব্যবস্থা করা যায়। এছাড়াও এলাকার উন্নয়নের কাজ নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় কাজো শুরু হয়েছে। মানকুন্ডুতে মানসিক হাসপাতালে ধনিয়াখালি হাসপাতালে কাজ চলছে। গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসকের একটা সমস্যা আছে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। যাতে কিছু ভালো যোগ্য চিকিৎসক যারা আছেন তারা শুধু শহর কেন্দ্রিক না ভেবে জেলা নিয়ে ভাবেন। তাদেরটাও বুঝি তারাও নিজেদের উন্নতি চান। এদের মধ্যে অনেক ডাক্তার আছেন যারা খুবই ভালো। তারা যদি শহরে চলে যান গ্রাম ছেড়ে তাহলে গ্রামের লোকদেরকে দেখবে। তাই আমি চাই ভালো ভালো ডাক্তাররা আসুক গ্রামের হাসপাতালে। বড় বড় হাসপাতাল গুলো আমরা তৈরী করছি। সেবাই যদি না দিতে পারি তাহলে কলকাতা ছুটতে হয় রাস্তাতে অনেক অঘটন ঘটে যাচ্ছে।