এই মুহূর্তে জেলা

অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি, মাহেশে বিশ্ব শান্তি যজ্ঞে এসে বিস্ফোরক সাংসদ

হুগলি, ২২ ডিসেম্বর:- অমিত শাহ সংসদে সংবিধান রচয়িতা বাবা সাহেব আম্বেদকরকে যেভাবে অপমান করেছেন তাতে তার এক্ষুনি পদত্যাগ করা উচিত। শুধু অমিত শাহ নয়, বিজেপি নেতারা পন্ডিত নেহেরু থেকে শুরু করে একের পর অন্যান্য দেশবরেণ্য নেতাদের অপমান করছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। তিনবার ক্ষমতায় আসার পর এরা দম্ভে মত্ত হয়ে উঠেছে।রবিবার মহেশ জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ অনুষ্ঠানে এসে এইভাবেই তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যেভাবে রাজ্যে বিজেপি নেতারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে তার বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে। বিজেপির রাজ্যে অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করছে সে প্রসঙ্গে কল্যাণবাবু জানান,

এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারই দায়ী। তিনি প্রশ্ন করেন কারা রয়েছে বর্ডার পাহারার দায়িত্বে, আসলে এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা অপদার্থ, চোর, জোচ্চোর। সারা পৃথিবীজুড়ে যেভাবে হানাহানি বিদ্বেষ মাথা চারা দিচ্ছে তাতে মানব সমাজ আজ বিপন্ন। তারই জন্য রবিবার সকালে ৬৩৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হল বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ। রবিবার এই উপলক্ষে এদিন সকাল থেকে জগন্নাথ মন্দিরে নেমে ছিল ভক্তদের ঢল। ঊষাকালে মঙ্গল আরতির পর প্রভু জগন্নাথদেব সোনার মুকুট পরে অনিন্দ্য সুন্দর বেশে ভক্তদের দর্শন দেন। এ উপলক্ষে মাহেশ মন্দিরে চলছে বিশেষ পুজোপাঠ এবং যজ্ঞ। বিভিন্ন স্থান থেকে সাধু-সন্তরা এসে হাজির হয়েছেন যজ্ঞস্থলে। বিশ্ববাসীর শান্তির উদ্দেশ্যে যজ্ঞে আহুতি দেয়া হয়। এই উপলক্ষে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রচুর গণ্যমান্য মানুষদের উপস্থিতিতে মন্দির চত্বর ছিল মুখরিত।

উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা, সন্তোষ কুমার সিং, তিয়াসা মুখার্জি সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। জগন্নাথ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান প্রভু জগন্নাথ মন্দিরে এদিন বিশ্ব শান্তির যজ্ঞের আয়োজন করা হয়, সমস্ত বিশ্ব শান্তির কল্যাণে যজ্ঞে আহুতি দেওয়া হয়, প্রভু জগন্নাথ দেবের কাছে প্রার্থনা প্রভু আমাদের পৃথিবী থেকে সমস্ত রকম বিদ্বেষ হিংসা দুঃখ দূর করে প্রত্যেক পরিবারে যাতে শান্তি বিরাজ করে সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে সেই আশীর্বাদ করো। অন্যদিকে ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অসীম পণ্ডিত জানান আজকে এই বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ উপলক্ষে পাঁচ হাজার মানুষের মধ্যে প্রভু জগন্নাথ দেবের ভোগ বিতরণ করা হয়।